ক্রীড়া ডেস্ক : ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনকে ঘিরে ভয় কাটতে সম্ভবত আরো সময় লাগবে। ৯ মাস আগে ইউরোর প্রথম ম্যাচে ফিনল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছে ডেনমার্ক। ম্যাচের ৪২ মিনিটে হঠাৎই মাঠের মধ্যে পড়ে গেলেন তিনি। সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন মুহূর্তে। সতীর্থরা সময় নষ্ট না করে কৃত্রিমভাবে তার শ্বাস চালু রাখার প্রক্রিয়া শুরু করে দেন।
দ্রুততার সাথে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে জানা যায়, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এরিকসেন।
ফুটবল বিশ্বের উদ্বেগ দূর করে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসেন ডেনমার্ক তারকা। তার বুকে বসাতে হয় কৃত্রিম যন্ত্রও এবং তারই সাথে জল্পনা শুরু হয়েছিল, তবে কি এরিকসেনের ফুটবলজীবনে পড়ে গেল ইতি?
গত শনিবার (২৬ মার্চ) আমস্টারডামে ৩০ বছরের সাবেক ইন্টার মিলান তারকা শুরু করলেন নতুন অধ্যায়। ফিরলেন জাতীয় দলের জার্সিতে। দুর্দান্ত গোল করে জিতে নিলেন ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়। কিন্তু এখনো তাকে মাঠে দৌড়াতে দেখলে যেকোনো সমর্থকেরই বুঝি আনন্দের পাশাপাশি শঙ্কাও হয়।
সুস্থ হয়ে মাঠে ফেরার পরেই তার সাথে ইন্টার মিলান চুক্তিভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু লড়াই ছেড়ে দেননি এরিকসেন। নতুন করে শুরু করেন অনুশীলন। প্রিয় ফুটবল মাঠে তাকে নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ দেয় ইপিএলের দল ব্রেন্টফোর্ড। শনিবার পরিবর্ত হিসেবে ডেনমার্কের জার্সিতে মাঠে নামার পরে পুরো স্টেডিয়াম স্বাগত জানায় তাকে। নেদারল্যান্ডস ডাগ-আউটে বসে থাকা ম্যানেজার লুইস ফান হাল’ও উঠে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানান ড্যানিশ যোদ্ধাকে।
দেশের হয়ে ১১০ নম্বর ম্যাচ খেলতে নামা এরিকসেন মাঠে নামার তিন মিনিটের মধ্যে গোল করেন আন্দ্রেয়াস স্কোভ ওলসেনের পাস থেকে। ম্যাচের পরে তিনি বলে যান, ‘গোলের জন্য বলটা পেয়ে কী যে আনন্দ হচ্ছিল বলে বোঝাতে পারব না।’
যদিও ম্যাচে নেদারল্যান্ডস জেতে ৪-২ গোলে। ডাচদের হয়ে জোড়া গোল করেন স্টিভন বার্গউইন (১৬ ও ৭১ মিনিটে)। অন্য দুই গোলদাতা নাথান অ্যাকে (২৯ মিনিট) এবং মেম্ফিস দেপাই (৩৭ মিনিট, পেনাল্টি)। ডেনামার্কের আর এক গোলদাতা ইয়ানিক ভেস্টারগার্ড।
হককথা/এমউএ