নিউইয়র্ক ০৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

দর্শকশূন্য মাঠে অলিম্পিকের ঝলমলে উদ্বোধন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৪:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১
  • / ৮৬ বার পঠিত

দর্শক না থাকলেও কম ঝলমলে হয়নি অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ছবি: টুইটার
স্পোর্টস রিপোর্টার: দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ বলা হয় অলিম্পিককে। দুনিয়াব্যাপী সব অ্যাথলেট-সমর্থকদের আগ্রহের তুঙ্গে থাকে যে আসর। যেটি আয়োজনের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে, কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ব্যয় করে অনেক দেশ। অথচ এবার সে আসরটিই কিনা আয়োজন করতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে অলিম্পিক কমিটি। জাপানে আসরটি বসার কথা গত বছর। সেটি পেছাতে পেছাতে এসেছে এ বছরে। কিন্তু এখনো খোদ দেশটির অধিকাংশ জনগন চায়, অলিম্পিক আয়োজন না হোক! এক মহামারী করোনাভাইরাস কতকিছুই না পাল্টে দিলো!
যেমনটা পাল্টে দিলো এই আসরের চেহারার। লাখো দর্শক উন্মুখ হয়ে থাকেন অলিম্পিকের উদ্বোধনী মাঠে বসে দেখতে। অথচ এবার একেবারে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে আয়োজন করতে হলো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের! অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেট, কোচ-কর্মকর্তাদের সঙ্গে অলিম্পিক কমিটির সভাপতি থমাস বাখ, জাপানের স¤্রাট নারুহিতো আর হাজারখানেক ভিআইপি, এই ছিলো এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দর্শক।
তবে দর্শক না থাকলেও, কম রঙীণ হয়নি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা। ঝলমলে- আতশবাজির আলোয় ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। ৪ ঘন্টার আয়োজন নিশ্চিতভাবেই মন্ত্রমুগ্ধ করেছে টিভিসেটের সামনে বসা দর্শকদেরকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় একটি ভিডিওর মাধ্যমে। যেখানে দেখানো হয়, করোনার মধ্যেও কিভাবে অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন অ্যাথলেটরা সেসব।
এরপর শুরু হয় একে একে মার্চ পাস্ট। সবার আগে ছিলো অলিম্পিক গেমসের প্রথম আয়োজক গ্রিস। ২য়বারের মতো অংশ নিচ্ছে শরণার্থী দল, তারা আসে এরপরের দফায়। সবার শেষে আসে স্বাগতিক জাপান দল। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ২০৭টি দেশ ।
এবার বাংলাদেশের পতাকা বহন করেন সাঁতারু আরিফুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন সাঁতারু জুনাইনা আহমেদ, দুই আর্চার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী, স্প্রিটার জহির রায়হান ও শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকি। এছাড়া আর্চার দলের কোচ ফ্রেডরিখ মার্টিন আর বাংলাদেশ দলের শেফ দ্য মিশন বশির আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
মার্চ পাস্ট শুরুর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন শান্তিতে নোবেলজয়ী বাংলাদেশী মোহাম্মদ ইউনুস। তার হাতে উঠে সম্মানজনক অলিম্পিক লরেল ট্রফি। আসরের জন্য শুভকামনা জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাপানের বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। মনোজ্ঞ সব প্রদর্শনী আর আতশবাজির মাধ্যমে শেষ হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। (দৈনিক ইত্তেফাক)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

দর্শকশূন্য মাঠে অলিম্পিকের ঝলমলে উদ্বোধন

প্রকাশের সময় : ১১:৪৪:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ জুলাই ২০২১

দর্শক না থাকলেও কম ঝলমলে হয়নি অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ছবি: টুইটার
স্পোর্টস রিপোর্টার: দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ বলা হয় অলিম্পিককে। দুনিয়াব্যাপী সব অ্যাথলেট-সমর্থকদের আগ্রহের তুঙ্গে থাকে যে আসর। যেটি আয়োজনের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে, কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ব্যয় করে অনেক দেশ। অথচ এবার সে আসরটিই কিনা আয়োজন করতে গিয়ে প্রশ্নের মুখে অলিম্পিক কমিটি। জাপানে আসরটি বসার কথা গত বছর। সেটি পেছাতে পেছাতে এসেছে এ বছরে। কিন্তু এখনো খোদ দেশটির অধিকাংশ জনগন চায়, অলিম্পিক আয়োজন না হোক! এক মহামারী করোনাভাইরাস কতকিছুই না পাল্টে দিলো!
যেমনটা পাল্টে দিলো এই আসরের চেহারার। লাখো দর্শক উন্মুখ হয়ে থাকেন অলিম্পিকের উদ্বোধনী মাঠে বসে দেখতে। অথচ এবার একেবারে দর্শকশূন্য গ্যালারিতে আয়োজন করতে হলো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের! অংশগ্রহণকারী অ্যাথলেট, কোচ-কর্মকর্তাদের সঙ্গে অলিম্পিক কমিটির সভাপতি থমাস বাখ, জাপানের স¤্রাট নারুহিতো আর হাজারখানেক ভিআইপি, এই ছিলো এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দর্শক।
তবে দর্শক না থাকলেও, কম রঙীণ হয়নি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটা। ঝলমলে- আতশবাজির আলোয় ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। ৪ ঘন্টার আয়োজন নিশ্চিতভাবেই মন্ত্রমুগ্ধ করেছে টিভিসেটের সামনে বসা দর্শকদেরকে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয় একটি ভিডিওর মাধ্যমে। যেখানে দেখানো হয়, করোনার মধ্যেও কিভাবে অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন অ্যাথলেটরা সেসব।
এরপর শুরু হয় একে একে মার্চ পাস্ট। সবার আগে ছিলো অলিম্পিক গেমসের প্রথম আয়োজক গ্রিস। ২য়বারের মতো অংশ নিচ্ছে শরণার্থী দল, তারা আসে এরপরের দফায়। সবার শেষে আসে স্বাগতিক জাপান দল। এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ২০৭টি দেশ ।
এবার বাংলাদেশের পতাকা বহন করেন সাঁতারু আরিফুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিলেন সাঁতারু জুনাইনা আহমেদ, দুই আর্চার রোমান সানা ও দিয়া সিদ্দিকী, স্প্রিটার জহির রায়হান ও শুটার আব্দুল্লাহ হেল বাকি। এছাড়া আর্চার দলের কোচ ফ্রেডরিখ মার্টিন আর বাংলাদেশ দলের শেফ দ্য মিশন বশির আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
মার্চ পাস্ট শুরুর আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন শান্তিতে নোবেলজয়ী বাংলাদেশী মোহাম্মদ ইউনুস। তার হাতে উঠে সম্মানজনক অলিম্পিক লরেল ট্রফি। আসরের জন্য শুভকামনা জানান তিনি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাপানের বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। মনোজ্ঞ সব প্রদর্শনী আর আতশবাজির মাধ্যমে শেষ হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। (দৈনিক ইত্তেফাক)