নিউইয়র্ক ০৮:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এক স্লিপ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫
  • / ৬৯৯ বার পঠিত

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানগুলোর শুরুতে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ সংগঠন ফোবানা (ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এসোশিয়েনর ইন নর্থ আমেরিকা)-এর বার্ষিক সম্মেলনেরও বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা’র জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়ে থাকে। এতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর-কিশোরীরাও অংশ নিয়ে থাকে যা প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে অনুষ্ঠানগুলোতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময় কখনই ‘জাতীয় সঙ্গীত’-এর পুরো গান নাকি পরিবেশিত হয় না। গেলো সপ্তাহে সাংবাদিক বন্ধুদের এক চায়ের আড্ডায় বিষয়টি জোড়ালো ভাবেই উঠে আসে। এক সহকর্মী দৃঢ় কন্ঠে বললেন, যে কোন দেশেরই হোক ‘জাতীয় সঙ্গীত’ পরিবেশনের সময় পুরো সঙ্গীতটাই গাওয়া উচিৎ বা পরিবেশিত হওয়া উচিৎ। কেননা, এই সঙ্গীতের একাংশ গাওয়া হলে সংশ্লিস্টরা পুরো গান থেকেই বঞ্চিত হন। অপরদিকে অনেকেই পুরো গানটিই ভুলে যেতে বসেছেন। সাধারণত জাতীয় সঙ্গীত সবসময় গাওয়া হয় না বা মুখে মুখে উচ্চারিত হয় না, সেহেতু গানটি গাওয়ার সময় পুরো গাওয়াই শ্রেয়। আর এই গানের সাথে দেশপ্রেমের সম্পর্ক ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। তাই এখানে অবহেলার কোন সুযোগ নেই। সাংবাদিক বন্ধুর এমন যুক্তি অন্য বন্ধুরা যেমন উড়িয়ে দিতে পারলেন না, আমিও না। অপর এক সাংবাদিক বন্ধু আরেকটু আগ বাড়িয়ে বললেন- ‘আমার কাছে জাতীয় সঙ্গীতের অর্ধেকাংশ না গাওয়াই উচিৎ। পুরো গান না গাইতে পারাটা ব্যর্থতা ছাড়া কিছু নয়, আর এতে জাতীয় সঙ্গীত সহ দেশকেই ছোট করা হয়’। বন্ধুদের কথাগুলো আর বিষয়টি মাথায় গভীর রেখাপাত করলো। আসলেই তো ‘জাতীয় সঙ্গীত’ পুরোটি কেন গাওয়া হবে না! সময়ের অভাবে? নাকি পুরো গান না জানার কারণে? নাকি অন্য কিছু? বাংলাদেশী কমিউনিটির সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি ভেবে দেখবেন কি? ২৯ নভেম্বর’২০১৫

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

এক স্লিপ

প্রকাশের সময় : ১১:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০১৫

নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কের বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানগুলোর শুরুতে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশী সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ সংগঠন ফোবানা (ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এসোশিয়েনর ইন নর্থ আমেরিকা)-এর বার্ষিক সম্মেলনেরও বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা’র জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়ে থাকে। এতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর-কিশোরীরাও অংশ নিয়ে থাকে যা প্রশংসার দাবী রাখে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে অনুষ্ঠানগুলোতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময় কখনই ‘জাতীয় সঙ্গীত’-এর পুরো গান নাকি পরিবেশিত হয় না। গেলো সপ্তাহে সাংবাদিক বন্ধুদের এক চায়ের আড্ডায় বিষয়টি জোড়ালো ভাবেই উঠে আসে। এক সহকর্মী দৃঢ় কন্ঠে বললেন, যে কোন দেশেরই হোক ‘জাতীয় সঙ্গীত’ পরিবেশনের সময় পুরো সঙ্গীতটাই গাওয়া উচিৎ বা পরিবেশিত হওয়া উচিৎ। কেননা, এই সঙ্গীতের একাংশ গাওয়া হলে সংশ্লিস্টরা পুরো গান থেকেই বঞ্চিত হন। অপরদিকে অনেকেই পুরো গানটিই ভুলে যেতে বসেছেন। সাধারণত জাতীয় সঙ্গীত সবসময় গাওয়া হয় না বা মুখে মুখে উচ্চারিত হয় না, সেহেতু গানটি গাওয়ার সময় পুরো গাওয়াই শ্রেয়। আর এই গানের সাথে দেশপ্রেমের সম্পর্ক ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। তাই এখানে অবহেলার কোন সুযোগ নেই। সাংবাদিক বন্ধুর এমন যুক্তি অন্য বন্ধুরা যেমন উড়িয়ে দিতে পারলেন না, আমিও না। অপর এক সাংবাদিক বন্ধু আরেকটু আগ বাড়িয়ে বললেন- ‘আমার কাছে জাতীয় সঙ্গীতের অর্ধেকাংশ না গাওয়াই উচিৎ। পুরো গান না গাইতে পারাটা ব্যর্থতা ছাড়া কিছু নয়, আর এতে জাতীয় সঙ্গীত সহ দেশকেই ছোট করা হয়’। বন্ধুদের কথাগুলো আর বিষয়টি মাথায় গভীর রেখাপাত করলো। আসলেই তো ‘জাতীয় সঙ্গীত’ পুরোটি কেন গাওয়া হবে না! সময়ের অভাবে? নাকি পুরো গান না জানার কারণে? নাকি অন্য কিছু? বাংলাদেশী কমিউনিটির সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি ভেবে দেখবেন কি? ২৯ নভেম্বর’২০১৫