নিউইয়র্ক ০১:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

একই শহরে ছিলেন যমজ বোন, দেখা হলো জন্মের ১৯ বছর পর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ১১৩ বার পঠিত

যমজ বোন অ্যামি খাভিশা এবং অ্যানো সারতানিয়া। ছবি : ফেসবুক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জন্মের সময় যমজ সন্তানের আলাদা হয়ে যাওয়ার দীর্ঘদিন পর তাঁদের দেখা হওয়া—সিনেমার কাহিনির সঙ্গে মিলে যাবে পূর্ব ইউরোপের দেশ জর্জিয়ার দুই বোনের গল্প। যমজ বোন অ্যামি খাভিশা ও অ্যানো সারতানিয়া আলাদা হয় গিয়েছিলেন জন্মের পরপরই। জর্জিয়ায় মাত্র মাইলখানেক দূরে তাঁদের বাড়ি। অবশেষে ভাইরাল হওয়া এক টিকটক ভিডিওতে তাঁরা একজন আরেকজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

অ্যামি-অ্যানোর জন্মদাত্রী মা আজা শোনি ২০০২ সালে জন্মগ্রহণজনিত জটিলতায় চলে যান কোমায়। সে সময় এক ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তাঁর স্বামী গোচা গাখারিয়া। অ্যামি ও অ্যানোকে দুটি আলাদা পরিবারে বিক্রি করে দেন তিনি।

দুই বোনের এই গল্প তুলে এনেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তাঁদের প্রতিবেদনে জর্জিয়ার এক গুরুতর সমস্যাও সামনে এসেছে। গত কয়েক দশক ধরেই দেশটির হাসপাতাল থেকে উদ্বেগজনকসংখ্যক শিশু চুরি হওয়ার পর বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এর অনেক ঘটনাই এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।

অ্যামি আর অ্যানোর নিজেদের খুঁজে পাওয়ার যাত্রা শুরু হয়েছে তাদের ১২ বছর বয়সে। অ্যামি তার প্রিয় টিভি শো ‘জর্জিয়াস গট ট্যালেন্ট’ দেখছিলেন মন দিয়ে। একটি মেয়ে নাচতে গিয়ে হোঁচট খেল। অ্যামি দেখল সেই মেয়েটির সঙ্গে তার চেহারার অদ্ভুত সাদৃশ্য। অ্যামি তখন জানত না যে, নাচতে থাকা মেয়েটিই তার বোন।

আলাদা হওয়ার ১৯ বছর পর ফের দেখা হলো দুই বোনের। ছবি : ফেসবুক।

তিবিলিসিতে বড় হয়েছেন অ্যানো। আর অ্যামি জুগদিদিতে। দুজনের কেউই একে অপরের অস্তিত্ব সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ১১ বছর বয়সে একই নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। দর্শকের চোখেও পড়েছিল তাঁদের অবিশ্বাস্য সাদৃশ্য। তবু সত্য অধরাই থেকে যায়।

টিকটক ভিডিওটির পর তাদের দেখা হওয়া পর্যন্ত দুই বোনের জীবন চলতে থাকে সমান্তরাল পথে। ২০২১ সালে এক বন্ধুর পাঠানো টিকটক ভিডিওতে অ্যানো দেখতে পান নীল চুলের এক মেয়েকে, যে দেখতে অবিকল তাঁর মতোই। অ্যানো নিজের চুল নীল করে ফেলেছে কেন—বন্ধুর প্রশ্নের জবাবে অ্যানো বলেন, মেয়েটি তিনি নন।

কিন্তু মেয়েটির পরিচয় জানা তখন জরুরি হয়ে পড়েছে অ্যানোর জন্য। ভিডিওটি সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। তাতেই কাজ হয়। ভিডিওর সেই মেয়ে অ্যামির ফোন নম্বর পেয়ে যান অ্যানো। এরপর তাঁদের যোগাযোগ হয়। তাঁরা প্রথমবারের মতো জানতে পারেন সেই সত্য যে, তারা দুজন যমজ বোন। জর্জিয়ার হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া হাজার হাজার শিশুর মধ্যে তারাও ছিলেন।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুসার, ২০২১ সালে জর্জিয়ার রাজধানী তিবিলিসির রুস্তাভেলি সেতুতে দেখা হয় দুই বোনের। ১৯ বছর আগে তাঁদের বিচ্ছেদের পর প্রথমবারের মতো একত্র হন অ্যামি ও অ্যানো।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

একই শহরে ছিলেন যমজ বোন, দেখা হলো জন্মের ১৯ বছর পর

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জন্মের সময় যমজ সন্তানের আলাদা হয়ে যাওয়ার দীর্ঘদিন পর তাঁদের দেখা হওয়া—সিনেমার কাহিনির সঙ্গে মিলে যাবে পূর্ব ইউরোপের দেশ জর্জিয়ার দুই বোনের গল্প। যমজ বোন অ্যামি খাভিশা ও অ্যানো সারতানিয়া আলাদা হয় গিয়েছিলেন জন্মের পরপরই। জর্জিয়ায় মাত্র মাইলখানেক দূরে তাঁদের বাড়ি। অবশেষে ভাইরাল হওয়া এক টিকটক ভিডিওতে তাঁরা একজন আরেকজনকে খুঁজে পেয়েছেন।

অ্যামি-অ্যানোর জন্মদাত্রী মা আজা শোনি ২০০২ সালে জন্মগ্রহণজনিত জটিলতায় চলে যান কোমায়। সে সময় এক ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন তাঁর স্বামী গোচা গাখারিয়া। অ্যামি ও অ্যানোকে দুটি আলাদা পরিবারে বিক্রি করে দেন তিনি।

দুই বোনের এই গল্প তুলে এনেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। তাঁদের প্রতিবেদনে জর্জিয়ার এক গুরুতর সমস্যাও সামনে এসেছে। গত কয়েক দশক ধরেই দেশটির হাসপাতাল থেকে উদ্বেগজনকসংখ্যক শিশু চুরি হওয়ার পর বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এর অনেক ঘটনাই এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।

অ্যামি আর অ্যানোর নিজেদের খুঁজে পাওয়ার যাত্রা শুরু হয়েছে তাদের ১২ বছর বয়সে। অ্যামি তার প্রিয় টিভি শো ‘জর্জিয়াস গট ট্যালেন্ট’ দেখছিলেন মন দিয়ে। একটি মেয়ে নাচতে গিয়ে হোঁচট খেল। অ্যামি দেখল সেই মেয়েটির সঙ্গে তার চেহারার অদ্ভুত সাদৃশ্য। অ্যামি তখন জানত না যে, নাচতে থাকা মেয়েটিই তার বোন।

আলাদা হওয়ার ১৯ বছর পর ফের দেখা হলো দুই বোনের। ছবি : ফেসবুক।

তিবিলিসিতে বড় হয়েছেন অ্যানো। আর অ্যামি জুগদিদিতে। দুজনের কেউই একে অপরের অস্তিত্ব সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। ১১ বছর বয়সে একই নাচের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। দর্শকের চোখেও পড়েছিল তাঁদের অবিশ্বাস্য সাদৃশ্য। তবু সত্য অধরাই থেকে যায়।

টিকটক ভিডিওটির পর তাদের দেখা হওয়া পর্যন্ত দুই বোনের জীবন চলতে থাকে সমান্তরাল পথে। ২০২১ সালে এক বন্ধুর পাঠানো টিকটক ভিডিওতে অ্যানো দেখতে পান নীল চুলের এক মেয়েকে, যে দেখতে অবিকল তাঁর মতোই। অ্যানো নিজের চুল নীল করে ফেলেছে কেন—বন্ধুর প্রশ্নের জবাবে অ্যানো বলেন, মেয়েটি তিনি নন।

কিন্তু মেয়েটির পরিচয় জানা তখন জরুরি হয়ে পড়েছে অ্যানোর জন্য। ভিডিওটি সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। তাতেই কাজ হয়। ভিডিওর সেই মেয়ে অ্যামির ফোন নম্বর পেয়ে যান অ্যানো। এরপর তাঁদের যোগাযোগ হয়। তাঁরা প্রথমবারের মতো জানতে পারেন সেই সত্য যে, তারা দুজন যমজ বোন। জর্জিয়ার হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া হাজার হাজার শিশুর মধ্যে তারাও ছিলেন।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুসার, ২০২১ সালে জর্জিয়ার রাজধানী তিবিলিসির রুস্তাভেলি সেতুতে দেখা হয় দুই বোনের। ১৯ বছর আগে তাঁদের বিচ্ছেদের পর প্রথমবারের মতো একত্র হন অ্যামি ও অ্যানো।

হককথা/নাছরিন