নিউইয়র্ক ০৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মমতা ব্যানার্জি

পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থ দেখার পর বাংলাদেশকে পানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪
  • / ১৭৮ বার পঠিত

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মানুষের স্বার্থ দেখার পর বাংলাদেশকে তিস্তার পানি এবং গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এ কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের বিজেপি সরকার। এই সংক্রান্ত বিষয়ে অনলাইনে সতর্কবার্তা দেওয়া যায়। কিছুই করা হয়নি। ২০২৬ সালে গঙ্গার পানিবণ্টন সংক্রান্ত ফারাক্কা চুক্তি নবায়ন হবে। ২০২৪ সালেই ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে কমিটি। যে কমিটি পাঠানো হচ্ছে, তাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ৯ জন এবং পশ্চিমবঙ্গের এক জন প্রতিনিধি রাখা হচ্ছে।

মমতা বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজ কমিউনিটির ওপর পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। আমিও বাংলাদেশকে পানি দিয়েছি। কিন্তু আমি পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেব। কারণ, এখানকার মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছেন। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ভারত সরকার অগ্রিম চুক্তি করে দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ কোনো আলোচনায় থাকতে পারছে না।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে গঙ্গা-পদ্মার পানিবণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি করার সময় পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে আলোচনা করেছিল ভারত সরকার। পরে তাকে বাংলাদেশ সরকারও সংবর্ধনাও দেয়। কিন্তু এবার পশ্চিমবঙ্গকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফারাক্কা ব্যারেজের পার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আগে পালন করুক ভারত সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করুক।

পাশাপাশি এদিন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভারত-বাংলাদেশ নদী কমিশনের আদলে ভারত-ভুটান নদী কমিশন গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা। সূত্র:ইত্তেফাক।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় মমতা ব্যানার্জি

পশ্চিমবঙ্গের মানুষের স্বার্থ দেখার পর বাংলাদেশকে পানি দেওয়ার সিদ্ধান্ত

প্রকাশের সময় : ১২:৪৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মানুষের স্বার্থ দেখার পর বাংলাদেশকে তিস্তার পানি এবং গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় এ কথা বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি বলেন, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে একতরফাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের বিজেপি সরকার। এই সংক্রান্ত বিষয়ে অনলাইনে সতর্কবার্তা দেওয়া যায়। কিছুই করা হয়নি। ২০২৬ সালে গঙ্গার পানিবণ্টন সংক্রান্ত ফারাক্কা চুক্তি নবায়ন হবে। ২০২৪ সালেই ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে কমিটি। যে কমিটি পাঠানো হচ্ছে, তাতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ৯ জন এবং পশ্চিমবঙ্গের এক জন প্রতিনিধি রাখা হচ্ছে।

মমতা বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজ কমিউনিটির ওপর পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। আমিও বাংলাদেশকে পানি দিয়েছি। কিন্তু আমি পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেব। কারণ, এখানকার মানুষ আমাকে নির্বাচিত করেছেন। নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ভারত সরকার অগ্রিম চুক্তি করে দিচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ কোনো আলোচনায় থাকতে পারছে না।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে গঙ্গা-পদ্মার পানিবণ্টন সংক্রান্ত চুক্তি করার সময় পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর সঙ্গে আলোচনা করেছিল ভারত সরকার। পরে তাকে বাংলাদেশ সরকারও সংবর্ধনাও দেয়। কিন্তু এবার পশ্চিমবঙ্গকে পুরোপুরি বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফারাক্কা ব্যারেজের পার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব আগে পালন করুক ভারত সরকার। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করুক।

পাশাপাশি এদিন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভারত-বাংলাদেশ নদী কমিশনের আদলে ভারত-ভুটান নদী কমিশন গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা। সূত্র:ইত্তেফাক।