নিউইয়র্ক ১২:২৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজের শুনানিতে বাংলাদেশের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৫৯ বার পঠিত

ছবি : সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) মৌখিক শুনানিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই মৌখিক শুনানিতে নিজ নিজ দেশের তরফ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন দক্ষিণ আফ্রিকা, আলজেরিয়া, সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ, বেলজিয়াম, বেলিজ, বলিভিয়া, ব্রাজিল ও চিলি। আইসিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট ৫২টি দেশ ও ৩টি আন্তর্জাতিক সংগঠন এই শুনানিতে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুনানিতে নেতৃত্ব দেন নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. রিয়াজ হামিদুল্লাহ। এ ছাড়া, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের মন্ত্রী শাবাব বিন আহমেদ, ফার্স্ট সেক্রেটারি মোহা. জান্নাতুল হাবিব এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি জাকিরুল হাসান ফাহাদ।

আইসিজের নথি অনুসারে শুনানিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুরুতেই বলা হয়, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান ও ১৯৬৭ সালের সীমান্ত বিবেচনায় নিয়ে জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে আধুনিক যুগের সবচেয়ে ভয়াবহ লজ্জাজনক বিপর্যয় হিসেবেও উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। শুনানিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের ওপর দৈনন্দিন ভিত্তিতে যে সহিংসতা চলছে তা শেষ করার একমাত্র উপায় হলো এই দখলদারিত্বের অবসান। কিন্তু এই দখলদারিত্বের অবসান হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এবং রাজনৈতিক উপায়েই এর সমাধান করতে হবে।

শুনানিতে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং এর আইনি ফলাফল বা প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে এবং এই দখলদারিত্ব অবসানে ইসরায়েল ও অন্যান্য দেশ আইনি জায়গা থেকে কী কী করতে পারে বা উদ্যোগ নিতে পারে সেই বিষয়টি নিয়ে সবার সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।

এর আগে গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ওই আদালতে শুনানি শুরু হয়। বাংলাদেশসহ ৫২টি দেশ ও ৩টি সংগঠন শুনানিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে। শুনানি চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে আইসিজেতে এ শুনানি শুরু হলো। ইসরায়েলের দখলদারত্ব, অবৈধ বসতি স্থাপন ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করার অপতৎপরতা পর্যালোচনা করতে ২০২২ সালে আইসিজের প্রতি ওই আহ্বান জানিয়েছিল সাধারণ পরিষদ। তাতে ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েলের দখলে থাকা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ে আইসিজের নির্দেশনা ও মতামত চেয়েছে সাধারণ পরিষদ। তবে আইসিজে এ নিয়ে কোনো নির্দেশনা বা মতামত দিলে তা মানার আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিজের শুনানিতে বাংলাদেশের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন

প্রকাশের সময় : ০৭:৪০:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) মৌখিক শুনানিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এই মৌখিক শুনানিতে নিজ নিজ দেশের তরফ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন দক্ষিণ আফ্রিকা, আলজেরিয়া, সৌদি আরব, নেদারল্যান্ডস, বাংলাদেশ, বেলজিয়াম, বেলিজ, বলিভিয়া, ব্রাজিল ও চিলি। আইসিজের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মোট ৫২টি দেশ ও ৩টি আন্তর্জাতিক সংগঠন এই শুনানিতে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুনানিতে নেতৃত্ব দেন নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত মো. রিয়াজ হামিদুল্লাহ। এ ছাড়া, নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের মন্ত্রী শাবাব বিন আহমেদ, ফার্স্ট সেক্রেটারি মোহা. জান্নাতুল হাবিব এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি জাকিরুল হাসান ফাহাদ।

আইসিজের নথি অনুসারে শুনানিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুরুতেই বলা হয়, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরেই ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের অবসান ও ১৯৬৭ সালের সীমান্ত বিবেচনায় নিয়ে জেরুসালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছে।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনকে আধুনিক যুগের সবচেয়ে ভয়াবহ লজ্জাজনক বিপর্যয় হিসেবেও উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে। শুনানিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনিদের ওপর দৈনন্দিন ভিত্তিতে যে সহিংসতা চলছে তা শেষ করার একমাত্র উপায় হলো এই দখলদারিত্বের অবসান। কিন্তু এই দখলদারিত্বের অবসান হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এবং রাজনৈতিক উপায়েই এর সমাধান করতে হবে।

শুনানিতে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব এবং এর আইনি ফলাফল বা প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে এবং এই দখলদারিত্ব অবসানে ইসরায়েল ও অন্যান্য দেশ আইনি জায়গা থেকে কী কী করতে পারে বা উদ্যোগ নিতে পারে সেই বিষয়টি নিয়ে সবার সচেতন হওয়ার আহ্বান জানানো হয় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে।

এর আগে গত সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ওই আদালতে শুনানি শুরু হয়। বাংলাদেশসহ ৫২টি দেশ ও ৩টি সংগঠন শুনানিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে। শুনানি চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে আইসিজেতে এ শুনানি শুরু হলো। ইসরায়েলের দখলদারত্ব, অবৈধ বসতি স্থাপন ও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করার অপতৎপরতা পর্যালোচনা করতে ২০২২ সালে আইসিজের প্রতি ওই আহ্বান জানিয়েছিল সাধারণ পরিষদ। তাতে ১৯৬৭ সালে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েলের দখলে থাকা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ে আইসিজের নির্দেশনা ও মতামত চেয়েছে সাধারণ পরিষদ। তবে আইসিজে এ নিয়ে কোনো নির্দেশনা বা মতামত দিলে তা মানার আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।

হককথা/নাছরিন