নিউইয়র্ক ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সূর্যগ্রহণ নিয়ে হইচই, নায়াগ্রাতে জরুরি অবস্থা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৬০ বার পঠিত

আগামী ৮ এপ্রিল বছরের প্রথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধের বেশ কিছু এলাকা থেকে গ্রহণ স্পষ্ট দেখা যাবে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি জানিয়েছে, এই দৃশ্য যেসব স্থান থেকে সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে, সেগুলোর একটি হলো আমেরিকা-কানাডা সীমান্তের নায়াগ্রা জলপ্রপাত।

ওই দিন কয়েক লাখ দর্শনার্থীকে স্বাগত জানাতে কানাডার অন্টারিয়ো প্রদেশের নায়াগ্রা ফলস শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সূর্যগ্রহণের দিন কয়েক মিনিটের জন্য সূর্যের রশ্মি পুরোপুরি আড়াল করে দেবে চাঁদ। আর সেই দৃশ্য অন্টারিও শহর থেকে ভালোভাবে দেখা যাবে।

১৯৭৯ সালের পর এবার প্রথম কানাডার অন্টারিও প্রদেশে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি জানিয়েছে, যেসব স্থান থেকে এই সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে, নায়াগ্রা জলপ্রপাত সেগুলোর একটি। তবে এ নিয়ে মধুর সমস্যায় পড়েছে কানাডার কর্তৃপক্ষ।

নায়াগ্রা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জলপ্রপাত। এর হৃদয়ছোঁয়া নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে এমনিতেই প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক কোটি পর্যটক জড়ো হন। এবার ৮ এপ্রিলের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে আগে থেকেই নায়াগ্রায় ভিড় জমতে শুরু করেছে পৃথীবির বিভিন্ন দেশের দর্শরার্থীরা ।

নায়াগ্রার প্রশাসন জানিয়েছে, সূর্যগ্রহণ দেখতে জলপ্রপাতের সামনে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ জড়ো হতে পারেন। তাই ভিড় সামলাতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সূর্যগ্রহণের বিশেষত্ব হল এর স্থায়িত্ব। গ্রহণ এবার দীর্ঘ ক্ষণ স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

৫০ বছরের মধ্যে এই গ্রহণ হবে দীর্ঘতম। এই সময় পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্য যখন এক সারিতে চলে আসে । চাঁদের অবস্থান অনুযায়ী গ্রহণের ধরন নির্ভর করে। চাঁদের ছায়ায় সূর্য পুরোপুরি ঢেকে গেলে তাকে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ বলা হয়। ওই দিন বেশ কিছু ক্ষণ সূর্যের আলো সম্পূর্ণ ঢেকে থাকবে।

এবার পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে আমেরিকা, মেক্সিকো, কানাডা-সহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলি থেকে। নায়াগ্রা ফলস শহরের মেয়র জিম ডিয়োডাটি জানিয়েছেন, ৮ এপ্রিল শহরে নতুন নজির তৈরি হতে চলেছে। এর আগে একদিনে এত পর্যটক ওই শহরে পা রাখেননি।

ভিড়ের কারণে যানজট, মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং জরুরি পরিষেবার চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে। সে সব দিক মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। এই সূর্যগ্রহণ মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে পৌঁছাবে সকালের দিকে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে মেইন পর্যন্ত তির্যকভাবে কেটে বিকেল নাগাদ কানাডার পূর্বাঞ্চলে পৌঁছাবে। এই মহাদেশের বাকি অংশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

আর ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী রাতের বেলা এই গ্রহণ দেখা যাবে। ফলে পূর্ণগ্রাস গ্রহণের ফলে কালো ছায়ায় ঢাকা সূর্যের সাক্ষী সেদিন বাংলাদেশ হবে না। রাতে ৯টা ৪২ মিনিটে শুরু হবে সূর্যগ্রহণের পালা। শেষ হবে রাত ২টা ৫২ মিনিটে। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে পূর্ণ গ্রাসের শুরু। সূত্র : একাত্তর টিভি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সূর্যগ্রহণ নিয়ে হইচই, নায়াগ্রাতে জরুরি অবস্থা

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল ২০২৪

আগামী ৮ এপ্রিল বছরের প্রথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধের বেশ কিছু এলাকা থেকে গ্রহণ স্পষ্ট দেখা যাবে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি জানিয়েছে, এই দৃশ্য যেসব স্থান থেকে সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে, সেগুলোর একটি হলো আমেরিকা-কানাডা সীমান্তের নায়াগ্রা জলপ্রপাত।

ওই দিন কয়েক লাখ দর্শনার্থীকে স্বাগত জানাতে কানাডার অন্টারিয়ো প্রদেশের নায়াগ্রা ফলস শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সূর্যগ্রহণের দিন কয়েক মিনিটের জন্য সূর্যের রশ্মি পুরোপুরি আড়াল করে দেবে চাঁদ। আর সেই দৃশ্য অন্টারিও শহর থেকে ভালোভাবে দেখা যাবে।

১৯৭৯ সালের পর এবার প্রথম কানাডার অন্টারিও প্রদেশে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি জানিয়েছে, যেসব স্থান থেকে এই সূর্যগ্রহণ সবচেয়ে ভালো দেখা যাবে, নায়াগ্রা জলপ্রপাত সেগুলোর একটি। তবে এ নিয়ে মধুর সমস্যায় পড়েছে কানাডার কর্তৃপক্ষ।

নায়াগ্রা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম জলপ্রপাত। এর হৃদয়ছোঁয়া নৈসর্গিক সৌন্দর্য দেখতে এমনিতেই প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক কোটি পর্যটক জড়ো হন। এবার ৮ এপ্রিলের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে আগে থেকেই নায়াগ্রায় ভিড় জমতে শুরু করেছে পৃথীবির বিভিন্ন দেশের দর্শরার্থীরা ।

নায়াগ্রার প্রশাসন জানিয়েছে, সূর্যগ্রহণ দেখতে জলপ্রপাতের সামনে ১০ লক্ষের বেশি মানুষ জড়ো হতে পারেন। তাই ভিড় সামলাতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। সূর্যগ্রহণের বিশেষত্ব হল এর স্থায়িত্ব। গ্রহণ এবার দীর্ঘ ক্ষণ স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

৫০ বছরের মধ্যে এই গ্রহণ হবে দীর্ঘতম। এই সময় পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্য যখন এক সারিতে চলে আসে । চাঁদের অবস্থান অনুযায়ী গ্রহণের ধরন নির্ভর করে। চাঁদের ছায়ায় সূর্য পুরোপুরি ঢেকে গেলে তাকে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ বলা হয়। ওই দিন বেশ কিছু ক্ষণ সূর্যের আলো সম্পূর্ণ ঢেকে থাকবে।

এবার পূর্ণগ্রাস গ্রহণ দেখা যাবে আমেরিকা, মেক্সিকো, কানাডা-সহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলি থেকে। নায়াগ্রা ফলস শহরের মেয়র জিম ডিয়োডাটি জানিয়েছেন, ৮ এপ্রিল শহরে নতুন নজির তৈরি হতে চলেছে। এর আগে একদিনে এত পর্যটক ওই শহরে পা রাখেননি।

ভিড়ের কারণে যানজট, মোবাইল নেটওয়ার্ক এবং জরুরি পরিষেবার চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে। সে সব দিক মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করেছে প্রশাসন। এই সূর্যগ্রহণ মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলে পৌঁছাবে সকালের দিকে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস থেকে মেইন পর্যন্ত তির্যকভাবে কেটে বিকেল নাগাদ কানাডার পূর্বাঞ্চলে পৌঁছাবে। এই মহাদেশের বাকি অংশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

আর ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী রাতের বেলা এই গ্রহণ দেখা যাবে। ফলে পূর্ণগ্রাস গ্রহণের ফলে কালো ছায়ায় ঢাকা সূর্যের সাক্ষী সেদিন বাংলাদেশ হবে না। রাতে ৯টা ৪২ মিনিটে শুরু হবে সূর্যগ্রহণের পালা। শেষ হবে রাত ২টা ৫২ মিনিটে। রাত ১০টা ৪০ মিনিটে পূর্ণ গ্রাসের শুরু। সূত্র : একাত্তর টিভি।