লোকসভায় ‘পরিবারতন্ত্রের’ সংজ্ঞা দিলেন মোদি
- প্রকাশের সময় : ০৪:২৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ১১৩ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে আবারও ‘পারিবারিক দল’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে খোঁচা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন রাহুল গান্ধীকেও।
সোমবার ভারতের লোকসভায় ভাষণ দেন মোদি। এই ভাষণের প্রায় পুরোটাজুড়েই তিনি কংগ্রেসসহ বিরোধী দলগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেন। এ সময় পরিবারতন্ত্র ও পারিবারিক রাজনীতির পার্থক্য বোঝাতে তিনি যুক্তি দেন—একই পরিবারের একাধিক সদস্য নিজ যোগ্যতায় রাজনীতিতে ভালো করতে পারেন। এ নিয়ে কারও আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু কোনো পরিবার যখন রাজনৈতিক দল চালায় তখন সেটাই হয়ে যায় পরিবারতন্ত্র।
লোকসভায় ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে লক্ষ্যবস্তু করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অধীরবাবুকে দেখে আমার কষ্ট হয়। পরিবারতন্ত্রের পূজা করতে হয় তাঁকে। কংগ্রেসে কোনো প্রতিভাবানের স্থান নেই। একটা পরিবার দলের সব সিদ্ধান্ত নেয়।’
নাম উল্লেখ না করে রাহুল গান্ধীকে ইঙ্গিত করে মোদি বলেন, ‘একই প্রোডাক্ট বারবার লঞ্চ করতে গিয়ে কংগ্রেসের দোকানে তালা ঝোলানোর পরিস্থিতি হয়ে গেছে।’
এ সময় পরিবারতন্ত্রের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবারতন্ত্রে এ দেশে বহু পরিবার রাজনৈতিক দল চালায়। এতেই আমাদের আপত্তি। যদি একই পরিবারের একাধিক সদস্য খেটে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রাজনীতিতে উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে ওঠে, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কথা টেনে আনেন মোদি। তিনি বলেন, ‘রাজনাথ সিংয়ের দল নেই, অমিত শাহেরও পার্টি নেই। কিন্তু এমন অনেক দল আছে যাদের চালায় একটা পরিবার। সব সিদ্ধান্তই একটা পরিবার নেয়। এর ফল দেশ ভুগেছে। এই পরিবারতন্ত্রের বিরোধিতাই আমি করেছি।’
বিরোধীদের ছন্নছাড়া অবস্থার জন্য কংগ্রেসকেই দায়ী করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘১০ বছরে ভালো বিরোধী হওয়ার সুযোগ ছিল তাদের। বহু নতুন মুখ ছিল। কিন্তু তাদের উঠে আসতে দেয়নি ওরা (কংগ্রেস)। কারণ নতুনরা উঠলে ওরা ঝাপসা হয়ে যেত। তাই নিজের জায়গা ছাড়েনি ওরা।’
সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়া’ নামে বিরোধী দলগুলোর জোটে যে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে, সেই বিষয়টিকে ইঙ্গিত করে মোদি বলেন, ‘অ্যালায়েন্সের অ্যালাইনমেন্টই নষ্ট হয়ে গেছে।’ সূত্র : আজকের পত্রিকা
হককথা/নাছরিন