নিউইয়র্ক ০৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু ১৯ এপ্রিল, ফলাফল ৪ জুন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৭:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪
  • / ৮৩ বার পঠিত

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে দেশটির ৫৪৩ আসনের নির্বাচন। সাত ধাপে ভোট চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৪ জুন। শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার এ ঘোষণা দিয়েছেন।

এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট হবে ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোট ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফা ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৫ মে এবং সপ্তম দফার ভোট নেওয়া হবে ১ জুন।

গোটা দেশের মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অন্ধ্রপ্রদেশ, চন্ডিগড়, দাদরা ও নগর হাভেলি, দিল্লি, গোয়া, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, কেরল, লাক্ষাদ্বীপ, লাদাখ, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, পদুচেরি, সিকিম, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা এবং উত্তরাখণ্ড- এই ২২ রাজ্যে মাত্র এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে। কর্ণাটক, রাজস্থান, ত্রিপুরা ও মণিপুর- এই ৪ রাজ্যে ভোট হবে দুই দফায়। ছত্তিশগড় ও আসামে নির্বাচন হবে তিন দফায়। উড়িষ্যা, মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড-এই তিন রাজ্যে চার দফায় নির্বাচন হবে। মহারাষ্ট্রে হবে পাঁচ দফায় নির্বাচন। সর্বাধিক সাত দফায় নির্বাচন নেওয়া হবে তিনটি রাজ্য- পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তর প্রদেশে।

২০১৯ সালের মতো এবারও নিরাপত্তাগত কারণে জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন হচ্ছে না। বাকিসব কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হবে এক দফায়। বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুসহ একাধিক রাজ্যের ২৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে ওই সময়ের মধ্যে।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর প্রচারের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা উচিত।

রাজিব কুমার বলেন, ভুয়া খবর প্রচার আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ (৩)(বি) ধারা প্রতিটি রাজ্যের নোডাল অফিসারদের বেআইনি বিষয়বস্তু অপসারণের ক্ষমতা দিয়েছে।

২০১৯ সালের নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তারা জয় পায় ৩০৩টি আসনে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পায় ৩৫৩ আসন। ওই নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৯ সালের পর ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল এত বেশি ভোট আর পায়নি।

ওই নির্বাচনে মাত্র ৫২ আসনে জয় পেয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট জিতেছিল ৯৮ আসনে। সূত্র : জাগোনিউজ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ভারতে লোকসভা নির্বাচন শুরু ১৯ এপ্রিল, ফলাফল ৪ জুন

প্রকাশের সময় : ১১:৪৭:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মার্চ ২০২৪

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা হয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হবে দেশটির ৫৪৩ আসনের নির্বাচন। সাত ধাপে ভোট চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ফলাফল ঘোষণা হবে আগামী ৪ জুন। শনিবার (১৬ মার্চ) ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজিব কুমার এ ঘোষণা দিয়েছেন।

এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট হবে ১৯ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোট ২৬ এপ্রিল, তৃতীয় দফা ৭ মে, চতুর্থ দফা ১৩ মে, পঞ্চম দফা ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৫ মে এবং সপ্তম দফার ভোট নেওয়া হবে ১ জুন।

গোটা দেশের মধ্যে অরুণাচল প্রদেশ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অন্ধ্রপ্রদেশ, চন্ডিগড়, দাদরা ও নগর হাভেলি, দিল্লি, গোয়া, গুজরাট, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা, কেরল, লাক্ষাদ্বীপ, লাদাখ, মিজোরাম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, পদুচেরি, সিকিম, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, তেলেঙ্গানা এবং উত্তরাখণ্ড- এই ২২ রাজ্যে মাত্র এক দফায় ভোটগ্রহণ হবে। কর্ণাটক, রাজস্থান, ত্রিপুরা ও মণিপুর- এই ৪ রাজ্যে ভোট হবে দুই দফায়। ছত্তিশগড় ও আসামে নির্বাচন হবে তিন দফায়। উড়িষ্যা, মধ্যপ্রদেশ ও ঝাড়খণ্ড-এই তিন রাজ্যে চার দফায় নির্বাচন হবে। মহারাষ্ট্রে হবে পাঁচ দফায় নির্বাচন। সর্বাধিক সাত দফায় নির্বাচন নেওয়া হবে তিনটি রাজ্য- পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং উত্তর প্রদেশে।

২০১৯ সালের মতো এবারও নিরাপত্তাগত কারণে জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন হচ্ছে না। বাকিসব কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোট হবে এক দফায়। বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং তামিলনাড়ুসহ একাধিক রাজ্যের ২৬টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে ওই সময়ের মধ্যে।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়া খবর প্রচারের বিরুদ্ধে শক্ত বার্তা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিত করা উচিত।

রাজিব কুমার বলেন, ভুয়া খবর প্রচার আইন অনুযায়ী কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে। ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ (৩)(বি) ধারা প্রতিটি রাজ্যের নোডাল অফিসারদের বেআইনি বিষয়বস্তু অপসারণের ক্ষমতা দিয়েছে।

২০১৯ সালের নির্বাচনে জিতে দ্বিতীয়বারের মতো কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে বিজেপি। তারা জয় পায় ৩০৩টি আসনে। আর বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট পায় ৩৫৩ আসন। ওই নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৮৯ সালের পর ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল এত বেশি ভোট আর পায়নি।

ওই নির্বাচনে মাত্র ৫২ আসনে জয় পেয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন দল কংগ্রেস। আর কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট জিতেছিল ৯৮ আসনে। সূত্র : জাগোনিউজ।