নিউইয়র্ক ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আরব আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশিকে কারাদণ্ড দেয়ায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নিন্দা

হককথা ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৪:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪
  • / ১৩৩ বার পঠিত

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করায় উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫৭ বাংলাদেশিকে যে সাজা দিয়েছে তার নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। ২৪ জুলাই প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আমিরাত কর্তৃপক্ষের ওমন বিচারিক কর্মকাণ্ডকে ‘বিচারিক উপহাস’ বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি। দেশটিতে যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোটা সংস্কারের পক্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করায় গত ২১ জুলাই ৫৭ বাংলাদেশি নাগরিককে কারাদণ্ড দেয় আমিরাত কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে তিন বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অন্যদের ১০ থেকে ১১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আবুধাবির একটি আদালত।

তবে ওই বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এইচআরডব্লিউ। সংগঠনটি বলছে, এভাবে বিচারিক কার্যক্রম ‘অপমানজনক’ এবং ওই বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে ন্যায্যতা এবং যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে। সংগঠনটির গবেষক জোই শিয়া এই বিচারিক কার্যক্রমকে ‘বিচারিক উপহাস’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, তদন্ত শুরু করে এত অল্প সময়ের সধ্যে বিচার শুরু এবং মাত্র ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে রায় প্রদান করা হলে আসামিদের ন্যায্য বিচার পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ সম্পর্কে কিছু বিবরণ দিয়েছে। এইচআরডব্লিউ বলেছে, দেশটি বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে আমিরাতে বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভের চিত্র দেখা গিয়েছে। দুবাই মলের কাছে রেকর্ড করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে কয়েক শত থেকে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী সড়কে জড়ো হয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্লোগান দিয়েছে।

উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে পাকিস্তান এবং ভারতের পর দেশটিতে তৃতীয় বৃহত্তম প্রবাসী গোষ্ঠী হচ্ছে বাংলাদেশ।

আরব আমিরাতে যেকোনো বিক্ষোভ বা সরকারের সমালোচনাকে কঠোরভাবে দমন করা হয়। দেশটিতে যেকোনো ধরণের অননুমোদিত প্রতিবাদ, সরকারের সমালোচনা করে সভা করা নিষিদ্ধ। এতে দেশটিতে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করে আরব আমিরাতে সরকার। সূত্র: মানবজমিন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আরব আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশিকে কারাদণ্ড দেয়ায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নিন্দা

প্রকাশের সময় : ০৪:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করায় উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫৭ বাংলাদেশিকে যে সাজা দিয়েছে তার নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। ২৪ জুলাই প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আমিরাত কর্তৃপক্ষের ওমন বিচারিক কর্মকাণ্ডকে ‘বিচারিক উপহাস’ বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি। দেশটিতে যেকোনো ধরনের বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোটা সংস্কারের পক্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করায় গত ২১ জুলাই ৫৭ বাংলাদেশি নাগরিককে কারাদণ্ড দেয় আমিরাত কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে তিন বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অন্যদের ১০ থেকে ১১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে আবুধাবির একটি আদালত।

তবে ওই বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এইচআরডব্লিউ। সংগঠনটি বলছে, এভাবে বিচারিক কার্যক্রম ‘অপমানজনক’ এবং ওই বিচারিক কার্যক্রম নিয়ে ন্যায্যতা এবং যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পর্কে গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে। সংগঠনটির গবেষক জোই শিয়া এই বিচারিক কার্যক্রমকে ‘বিচারিক উপহাস’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, তদন্ত শুরু করে এত অল্প সময়ের সধ্যে বিচার শুরু এবং মাত্র ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে রায় প্রদান করা হলে আসামিদের ন্যায্য বিচার পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভ সম্পর্কে কিছু বিবরণ দিয়েছে। এইচআরডব্লিউ বলেছে, দেশটি বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যেখানে আমিরাতে বেশ কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভের চিত্র দেখা গিয়েছে। দুবাই মলের কাছে রেকর্ড করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে কয়েক শত থেকে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী সড়কে জড়ো হয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পক্ষে স্লোগান দিয়েছে।

উল্লেখ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে পাকিস্তান এবং ভারতের পর দেশটিতে তৃতীয় বৃহত্তম প্রবাসী গোষ্ঠী হচ্ছে বাংলাদেশ।

আরব আমিরাতে যেকোনো বিক্ষোভ বা সরকারের সমালোচনাকে কঠোরভাবে দমন করা হয়। দেশটিতে যেকোনো ধরণের অননুমোদিত প্রতিবাদ, সরকারের সমালোচনা করে সভা করা নিষিদ্ধ। এতে দেশটিতে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে বলে মনে করে আরব আমিরাতে সরকার। সূত্র: মানবজমিন।