নিউইয়র্ক ০৯:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিভিন্ন দেশে সমকামিতার ভয়াবহ শাস্তি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪০ বার পঠিত

সম্প্রতি পোপ ফ্রান্সিস সমকামীদের আশির্বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং তাদের বৈধতা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশে সমকামিতাকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্বের এমন অনেক দেশ রয়েছে যেসব দেশে সমকামিতা কঠিন অপরাধ। এর জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।

এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বিশ্বের ৬৪টি দেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ। এ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। সম্প্রতি ভারতে সমকামিতা নিষিদ্ধ করা ঐতিহাসিক আইনটি সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বাতিল করা হয়েছে। ফলে ভারতে এখন সমকামিতা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।

পাপুয়া নিউ গিনি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশে সমকামিতার বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে। ইরান, সুদান ও ইয়েমেনে সমকামিতার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামলে সারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ব্রিটিশ কলোনিগুলোতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় সমকামিতা। এশিয়ার যেসব দেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ সেগুলো হলো- আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনাই, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লেবানন, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, ফিলিস্তিন, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, সিরিয়া, তুর্কেমিনস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান ও ইয়েমেন।

আফ্রিকার আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, উগান্ডা, তাঞ্জানিয়া, নাইজেরিয়া, মরক্কো ও লিবিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ। দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে বার্বাডোজ, ডমিনিকা, গ্রেনাডা, গায়ানা ও জ্যামাইকা। বেশিরভাগ মুসলিম দেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ হলেও বেশ কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশে সমকামিতা বৈধ। সমকামিতা বৈধ এমন কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশের তালিকায় রয়েছে তুরস্ক, মালি, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, আলবেনিয়া, বাহরাইন ও ইরাক। ১৮৫৮ সালে অটোমান সাম্রাজ্য সমকামিতাকে বৈধতা দেয়। এরপর তুরস্ক স্বাধীন হলে সেই আইন বলবৎ রাখে। জর্ডানে ১৯৫১ সালে আইন করে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া হয়৷ বাহরাইনে ১৯৭৬ সালে সমকামিতাকে আইনগত বৈধতা দেয়া হয়।

যেসব দেশে সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
সৌদি আরব, সুদান, ইয়েমেন এবং ইরানে সমকামিতাকে ভয়ানক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। দেশগুলোতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। নাইজেরিয়া এবং সোমালিয়ার কিছু কিছু প্রদেশে সমলিঙ্গের সম্পর্কের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, আরব আমিরাত, কাতার ও মৌরিতানিয়াতেও সমকামিতার জন্য প্রাণদন্ডের বিধান রয়েছে বলে জানা যায়। তবে তারা এই শাস্তি কার্যকরের জন্য সেভাবে পরিচিত নয়। বাকি দেশগুলোতে এই অপরাধের জন্য কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, বেত্রাঘাতসহ বিভিন্ন শাস্তির বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশে কী শাস্তি?
বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী সমকামিতাকে প্রকৃতিবিরুদ্ধ অপরাধ হিসেবে বলা হয়েছে। তাতে বলা হয়, ‘কোনো ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কোনো পুরুষ, নারী বা পশু প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সঙ্গম করে, তবে তাকে আজীবন কারাদণ্ড দেয়া হবে, অথবা বর্ণনা অনুযায়ী নির্দিষ্টকালের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে যা দশ বছর পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে, এবং এর সাথে নির্দিষ্ট অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও দিতে হবে।’ সূত্র : ঢাকা মেইল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিভিন্ন দেশে সমকামিতার ভয়াবহ শাস্তি

প্রকাশের সময় : ১২:৩৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

সম্প্রতি পোপ ফ্রান্সিস সমকামীদের আশির্বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং তাদের বৈধতা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশে সমকামিতাকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। তবে বিশ্বের এমন অনেক দেশ রয়েছে যেসব দেশে সমকামিতা কঠিন অপরাধ। এর জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।

এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। বিশ্বের ৬৪টি দেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ। এ তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। সম্প্রতি ভারতে সমকামিতা নিষিদ্ধ করা ঐতিহাসিক আইনটি সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে বাতিল করা হয়েছে। ফলে ভারতে এখন সমকামিতা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে না।

পাপুয়া নিউ গিনি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশে সমকামিতার বিরুদ্ধে কঠোর আইন রয়েছে। ইরান, সুদান ও ইয়েমেনে সমকামিতার অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে। ব্রিটিশ শাসনামলে সারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ব্রিটিশ কলোনিগুলোতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় সমকামিতা। এশিয়ার যেসব দেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ সেগুলো হলো- আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনাই, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লেবানন, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, ফিলিস্তিন, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা, সিরিয়া, তুর্কেমিনস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান ও ইয়েমেন।

আফ্রিকার আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, উগান্ডা, তাঞ্জানিয়া, নাইজেরিয়া, মরক্কো ও লিবিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ। দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে বার্বাডোজ, ডমিনিকা, গ্রেনাডা, গায়ানা ও জ্যামাইকা। বেশিরভাগ মুসলিম দেশে সমকামিতা নিষিদ্ধ হলেও বেশ কয়েকটি মুসলিমপ্রধান দেশে সমকামিতা বৈধ। সমকামিতা বৈধ এমন কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশের তালিকায় রয়েছে তুরস্ক, মালি, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, আলবেনিয়া, বাহরাইন ও ইরাক। ১৮৫৮ সালে অটোমান সাম্রাজ্য সমকামিতাকে বৈধতা দেয়। এরপর তুরস্ক স্বাধীন হলে সেই আইন বলবৎ রাখে। জর্ডানে ১৯৫১ সালে আইন করে সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া হয়৷ বাহরাইনে ১৯৭৬ সালে সমকামিতাকে আইনগত বৈধতা দেয়া হয়।

যেসব দেশে সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড
সৌদি আরব, সুদান, ইয়েমেন এবং ইরানে সমকামিতাকে ভয়ানক অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। দেশগুলোতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সমকামিতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। নাইজেরিয়া এবং সোমালিয়ার কিছু কিছু প্রদেশে সমলিঙ্গের সম্পর্কের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। আফগানিস্তান, পাকিস্তান, আরব আমিরাত, কাতার ও মৌরিতানিয়াতেও সমকামিতার জন্য প্রাণদন্ডের বিধান রয়েছে বলে জানা যায়। তবে তারা এই শাস্তি কার্যকরের জন্য সেভাবে পরিচিত নয়। বাকি দেশগুলোতে এই অপরাধের জন্য কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড, বেত্রাঘাতসহ বিভিন্ন শাস্তির বিধান রয়েছে।

বাংলাদেশে কী শাস্তি?
বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারা অনুযায়ী সমকামিতাকে প্রকৃতিবিরুদ্ধ অপরাধ হিসেবে বলা হয়েছে। তাতে বলা হয়, ‘কোনো ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কোনো পুরুষ, নারী বা পশু প্রকৃতির নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন সঙ্গম করে, তবে তাকে আজীবন কারাদণ্ড দেয়া হবে, অথবা বর্ণনা অনুযায়ী নির্দিষ্টকালের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে যা দশ বছর পর্যন্ত বর্ধিত হতে পারে, এবং এর সাথে নির্দিষ্ট অঙ্কের আর্থিক জরিমানাও দিতে হবে।’ সূত্র : ঢাকা মেইল।