গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার সদর দপ্তরের নিচে হামাসের কমান্ড টানেল : ইসরায়েল
- প্রকাশের সময় : ০৫:২৯:৫১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
- / ৫৭ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় মাটির নিচে কয়েক শ মাইল দীর্ঘ হামাসের টানেল নেটওয়ার্ক খুঁজে পেয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। সেই টানেলের শাখা-প্রশাখা গাজায় অবস্থিত জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) সদর দপ্তরের নিচেও প্রসারিত বলে দাবি করেছে তারা। ইউএনআরডব্লিউএর মাধ্যমে হামাসের সহিংসতা চালানোর প্রমাণ হিসেবে ঘটনাটিকে অভিহিত করেছে আইডিএফ।
শুক্রবার আইডিএফ টানেলটি খুঁজে পেয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের চালানো অতর্কিত হামলায় ইউএনআরডব্লিউর কয়েকজন কর্মীর জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছিল ইসরায়েল। এরপর যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ জাতিসংঘের সংস্থাটির অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণা দেয়। ইউএনআরডব্লিউএ এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েকজন কর্মীকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রকৌশলীরা নতুন আবিষ্কৃত এই টানেলের মধ্যে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের নিয়ে গিয়েছিলেন। আইডিএফের একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল এতে নেতৃত্ব দেন। শ্বাসরুদ্ধকর গরম, সরু প্যাসেজ এবং ঝোপঝাড়ের মধ্য দিয়ে বিশ মিনিট হাঁটার পর তারা ইউএনআরডব্লিউএর সদর দপ্তরের নিচে পৌঁছান বলে তিনি জানান।
আইডিএফ বলছে, তারা যে টানেলে প্রবেশ করেছিল, সেটি ৭০০ মিটার দীর্ঘ এবং ভূপৃষ্ঠের ১৮ মিটার গভীরে অবস্থিত। দীর্ঘ টানেলটি বেশ কিছু জায়গায় দুই ভাগ হয়ে গেছে। সেখানে অফিস স্পেস এবং টয়লেটও খুঁজে পেয়েছে বলে দাবি আইডিএফের। সেখানে খোলা এবং খালি অবস্থায় স্টিলের কয়েকটি সেফ পেয়েছে তারা। সে সঙ্গে, কম্পিউটার সার্ভার দিয়ে পূর্ণ অবস্থায় একটি বড় চেম্বার ছিল সেখানে।
ইসরায়েলি বাহিনীর এই অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাঁর নামের প্রথম অংশ ইডো বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘টানেল নেটওয়ার্কটি থেকেই হামাস সবকিছু পরিচালনা করে। আপনারা যেখান দিয়ে হেঁটেছেন, সেই টানেলের জ্বালানি ও শক্তি দিয়েই এখান থেকে সব পরিচালনা করা হয়। হামাস গোয়েন্দাদের কেন্দ্রীয় কমান্ডগুলোর মধ্যে এটি একটি। এখান থেকে তারা বেশির ভাগ সময়ই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে।’
ইডো আরও বলেন, আইডিএফের হামলার মুখে হামাস এখান থেকে সরে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পালানোর আগে তারা এখান থেকে যোগাযোগের তারগুলো কেটে দিয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জানি যে হামাসের সদস্যরা ইউএনআরডব্লিউএতে কাজ করেছে। আমরা চাই প্রতিটি আন্তর্জাতিক সংস্থা গাজায় কাজ করুক। এটা আমাদের কোনো সমস্যা নয়। আমাদের সমস্যা হামাস।’
‘সন্ত্রাসে’ জড়িত কর্মীদের শাস্তি হবে, ফিলিস্তিনে সাহায্য বন্ধ করবেন না: জাতিসংঘ মহাসচিব‘সন্ত্রাসে’ জড়িত কর্মীদের শাস্তি হবে, ফিলিস্তিনে সাহায্য বন্ধ করবেন না: জাতিসংঘ মহাসচিব
অন্যদিকে এক বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ বলেছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পাঁচ দিন পর গত বছরের ১২ অক্টোবর সদর দপ্তর খালি করে দিয়েছিল তারা। এ কারণে ইসরায়েলি বাহিনীর দাবির বিষয়টি নিশ্চিত করতে বা কোনো ধরনের মন্তব্য করতেও তারা সক্ষম নয়।
হককথা/নাছরিন