ইয়েমেনিদের হামলা বন্ধে ইরানকে চাপ দিচ্ছে চীন
- প্রকাশের সময় : ১২:১৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
- / ৭৯ বার পঠিত
লোহিত সাগরে ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা একের পর এক বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছে। গোষ্ঠীটির হামলার কারণে এ পথে জাহাজ চলাচলে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এবার গোষ্ঠীটির হামলা বন্ধে ইরানের ওপর চাপ দিচ্ছে চীন। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের কর্মকর্তারা ইরানের ওপর ইয়েমেনিদের হামলা বন্ধের জন্য চাপ দিচ্ছে। এমনকি তারা ইরানের ওপর হামলা বন্ধ না করলে পাল্টা হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, তেহরান হামলা বন্ধে পদক্ষেপ না নিলে বেইজিং ইরান ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য সীমিত করার হুমকি দিয়ছে। ইরানের এক কর্মকর্তা জানান, মূলত চীন বলেছে, ‘যদি কোনোভাবে আমাদের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে ইরানের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক প্রভাবিত হবে। অতএব হুতিদের বলুন যেন তারা সংযত হয়।’
এর আগে ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দফায় দফায় হামলায় বিপর্যস্ত পশ্চিমারা। কোনোভাবেই ইরানপন্থি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে থামাতে পারছে না তারা। এমন পরিস্থিতিতে হুতি যোদ্ধাদের হাত থেকে বাণিজ্যিক জাহাজ রক্ষায় প্রধান শত্রু চীনের দ্বারস্থ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
চলতি মাসে ওয়াশিংটন ডিসিতে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বিভাগের প্রধান লিউ জিয়ানচাও-এর সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা। বৈঠকে হুতিদের হামলা থামাতে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চীনকে আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
৭ অক্টোবরে গাজা যুদ্ধ শুরু হলে হামাসের প্রতি সমর্থন জানায় হুতিরা। তাদের সমর্থনের অংশ হিসেবে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী ও ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাহাজে হামলা করে আসছে তারা। নভেম্বরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট গ্যালাক্সি লিডার জাহাজ জব্দ করার পর থেকে অন্তত ২৬টি জাহাজে হামলা চালিয়েছে এ গোষ্ঠীটি হুতিরা। তাদের হামলার ভয়ে বিভিন্ন জাহাজ কোম্পানি হয় লোহিত সাগর এড়িয়ে ভিন্ন পথে গন্তব্যে যাচ্ছে নতুবা চুক্তিই বাতিল করে দিচ্ছে। লোহিত সাগর দিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে পাঁচ বিলিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের পণ্য আনা-নেওয়া করা হয়। তবে হুতিদের হামলার জেরে এর পরিমাণ প্রায় ৪০ শতাংশের বেশি কমে গেছে। সূত্র : কালবেলা।