নিউইয়র্ক ১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সরকারবিরোধী বিক্ষোভ: ইরানে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১৮:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৩৮ বার পঠিত

মজিদ রেজা রাহনাভার্ডের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে ইরান। ছবি: টুইটার

ইরানে চলমান হিজাববিরোধী বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত আরেক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটির সরকার। আজ সোমবার জনসমক্ষে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বার্তা সংস্থা মিজান নিউজের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজাববিরোধী বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মোহসেন শেকারি নামের এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করেছে ইরান। তিনিও নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

মোহসেন শেকারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় ইরানের ব্যাপক নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করে বলেছে, শেকারিকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে এবং দোষ স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়েছে।

এদিকে আজ সোমবার যাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাঁর নাম মজিদ রেজা রাহনাভার্ড। বার্তা সংস্থা মিজান বলেছে, মজিদ রেজা রাহনাভার্ডকে আজ সকালে শিয়া শহরের মাশাহদে জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং ‘আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ইরান সরকার অন্তত ২১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চায়। এর মাধ্যমে চলমান বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখাতে চায় সরকার। এসব বিচার মূলত প্রহসনের বিচার।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির। সঠিকভাবে হিজাব না পরায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল তেহরানের নীতি পুলিশ। মাসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে হিজাববিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলেও বিক্ষোভ এখনো থামেনি।

 

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সরকারবিরোধী বিক্ষোভ: ইরানে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর

প্রকাশের সময় : ০৬:১৮:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২২

ইরানে চলমান হিজাববিরোধী বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িত আরেক ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে দেশটির সরকার। আজ সোমবার জনসমক্ষে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের বিচার বিভাগ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বার্তা সংস্থা মিজান নিউজের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হিজাববিরোধী বিক্ষোভে জড়িত থাকার অভিযোগে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল ইরান। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মোহসেন শেকারি নামের এক ব্যক্তির ফাঁসি কার্যকর করেছে ইরান। তিনিও নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা ও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

মোহসেন শেকারির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করায় ইরানের ব্যাপক নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলো। মানবাধিকার সংস্থাগুলো অভিযোগ করে বলেছে, শেকারিকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়েছে এবং দোষ স্বীকার করতে বাধ্য করা হয়েছে।

এদিকে আজ সোমবার যাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে তাঁর নাম মজিদ রেজা রাহনাভার্ড। বার্তা সংস্থা মিজান বলেছে, মজিদ রেজা রাহনাভার্ডকে আজ সকালে শিয়া শহরের মাশাহদে জনসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর দুই সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা এবং ‘আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, ইরান সরকার অন্তত ২১ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে চায়। এর মাধ্যমে চলমান বিক্ষোভকারীদের ভয় দেখাতে চায় সরকার। এসব বিচার মূলত প্রহসনের বিচার।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু হয়েছিল ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাসা আমিনির। সঠিকভাবে হিজাব না পরায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল তেহরানের নীতি পুলিশ। মাসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে হিজাববিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলেও বিক্ষোভ এখনো থামেনি।