নিউইয়র্ক ০১:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

রাশিয়ার উৎপাদন কমানোর ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:৩৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৫ বার পঠিত

ছবি: সংগৃহীত

আগামী মার্চ মাস থেকে রাশিয়া তেলের উৎপাদন কমাবে বলে জানিয়েছে দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক। তিনি জানান, রাশিয়া জ্বালানি তেলের উৎপাদন প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তাদের মোট উৎপাদনের ৫ শতাংশের মতো কমাবে।

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, রাশিয়ার জ্বালানি তেল এবং তেলজাত পণ্যের দাম পশ্চিমা বিশ্ব বেঁধে দেওয়ার পর রাশিয়া এ পদক্ষেপ নিল। বিশ্বের দ্বিতীয় বড় রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার এ ঘোষণার পরই অপরিশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম আড়াই শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৬ দশিমক ৬ ডলারে পৌঁছায়।

রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের উৎপাদিত তেলের পুরোটাই বিক্রি করছি। কিন্তু আগেই যেমনটা আমরা বলেছি, যাঁরা মূল্য বেঁধে দেওয়ার মূলনীতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মেনে চলছেন, তাঁদের কাছে আমরা তেল বিক্রি করব না। এ ক্ষেত্রে রাশিয়া নিজস্ব সিদ্ধান্তে মার্চ মাস থেকে প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল তেলের উৎপাদন কমাবে শুক্রবার ক্রেমলিন জানায়, রাশিয়া তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস গোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়ে আলোচনা করেছে।

তেল রপ্তানি থেকে রাশিয়ার আয় কমাতে পশ্চিমা দেশগুলো মূল্য বেঁধে দিয়েছিল। রাশিয়া চেষ্টা করছে কীভাবে এসব বিধিনিষেধকে পাশ কাটিয়ে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাওয়া যায়। তবে তেলের উৎপাদন কমানোর এ ঘোষণা ধারণা দিচ্ছে যে রাশিয়ার তেলের মূল্য বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি কিছুটা হলেও কাজ করছে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তার অংশ হিসেবে রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দেওয়া হয়। এ দাম ঠিক করা হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার। সূত্রঃ সমকাল

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

রাশিয়ার উৎপাদন কমানোর ঘোষণার পর বিশ্ববাজারে বাড়ল তেলের দাম

প্রকাশের সময় : ০১:৩৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

আগামী মার্চ মাস থেকে রাশিয়া তেলের উৎপাদন কমাবে বলে জানিয়েছে দেশটির উপ প্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক। তিনি জানান, রাশিয়া জ্বালানি তেলের উৎপাদন প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। তাদের মোট উৎপাদনের ৫ শতাংশের মতো কমাবে।

এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, রাশিয়ার জ্বালানি তেল এবং তেলজাত পণ্যের দাম পশ্চিমা বিশ্ব বেঁধে দেওয়ার পর রাশিয়া এ পদক্ষেপ নিল। বিশ্বের দ্বিতীয় বড় রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার এ ঘোষণার পরই অপরিশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম আড়াই শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৮৬ দশিমক ৬ ডলারে পৌঁছায়।

রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের উৎপাদিত তেলের পুরোটাই বিক্রি করছি। কিন্তু আগেই যেমনটা আমরা বলেছি, যাঁরা মূল্য বেঁধে দেওয়ার মূলনীতি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মেনে চলছেন, তাঁদের কাছে আমরা তেল বিক্রি করব না। এ ক্ষেত্রে রাশিয়া নিজস্ব সিদ্ধান্তে মার্চ মাস থেকে প্রতিদিন পাঁচ লাখ ব্যারেল তেলের উৎপাদন কমাবে শুক্রবার ক্রেমলিন জানায়, রাশিয়া তেল উৎপাদক দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস গোষ্ঠীর কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে তেলের উৎপাদন কমানোর বিষয়ে আলোচনা করেছে।

তেল রপ্তানি থেকে রাশিয়ার আয় কমাতে পশ্চিমা দেশগুলো মূল্য বেঁধে দিয়েছিল। রাশিয়া চেষ্টা করছে কীভাবে এসব বিধিনিষেধকে পাশ কাটিয়ে তেল রপ্তানি চালিয়ে যাওয়া যায়। তবে তেলের উৎপাদন কমানোর এ ঘোষণা ধারণা দিচ্ছে যে রাশিয়ার তেলের মূল্য বেঁধে দেওয়ার বিষয়টি কিছুটা হলেও কাজ করছে। রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে, তার অংশ হিসেবে রাশিয়ার তেলের দাম বেঁধে দেওয়া হয়। এ দাম ঠিক করা হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলার। সূত্রঃ সমকাল