মেঘালয়ে কংগ্রেস থেকে ১২ বিধায়কের তৃণমূলে যোগদান

- প্রকাশের সময় : ০৪:৫৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
- / ৪৯ বার পঠিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের গোয়া, হরিয়ানা, বিহার, আসাম ও উত্তরপ্রদেশের পর এবার মেঘালয় রাজ্য। একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেস থেকে নেতাদের তৃণমূলে যোগদান অব্যাহত।
উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে কংগ্রেস থেকে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমাসহ ১২ জন বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। মেঘালয়ে কংগ্রেসের ১৭ জন বিধায়ক ছিলেন। একধাক্কায় তাদের বিধায়কসংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজনে। তৃণমূল এখন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলে পরিণত হলো।
এর আগে কংগ্রেসকে এত বড় ধাক্কা দেননি তৃণমূল নেত্রী। গতকাল বুধবারই (২৫ নভেম্বর) দিল্লিতে তিনি বলেছিলেন, অন্য দল থেকে কেউ যদি তার দলে যোগ দিতে চায়, তাহলে তিনি কেন আটকাবেন।
একদা জোটসঙ্গী তৃণমূলের এই আচরণে কংগ্রেস যারপরনাই ক্ষুব্ধ। তারা সেই ক্ষোভ গোপনও করেনি। বেশ কয়েকবার তৃণমূলের এই আচরণের নিন্দা করে কংগ্রেস বলেছে, এর ফলে বিজেপি শক্তিশালী হবে।
সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, প্রশান্ত কিশোর সম্প্রতি শিলং গিয়েছিলেন। তখন বলা হয়েছিল, তিনি ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে গেছেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গতকাল সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তিনি কি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন? মমতা বলেন, এবার তিনি সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করবেন না। একই প্রশ্ন একাধিকবার করা হলে তিনি কিছুটা বিরক্ত হয়েই বলেন, প্রতিবার দিল্লি এলেই কি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে হবে? এরকম কোনো সাংবাধানিক বাধ্যবাধকতা আছে না কি? ওরা এখন পাঞ্জাব নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত।
তখনও জানা ছিল না, মেঘালয়ে কংগ্রেসকে বড় ধাক্কা দিতে চলেছেন মমতা। কংগ্রেসকে ভাঙিয়েই তিনি এখন বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল সংগঠন গড়ে তুলতে চাইছেন। -ডয়চে ভেলে