আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের বাণিজ্যিক রাজধানী ইয়াঙ্গুনে সৈন্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর একটি সামরিক ট্রাক তুলে দিলে অন্তত পাঁচজন নিহত ও আরও বহু মানুষ আহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সৈন্যরা এরপর ছুটে পালানো বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং অন্য অনেককে মারধর করে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে জমায়েতের ভেতর ঢুকে পড়ে। নিরাপত্তা বাহিনী অন্তত ১৫ জনকে আটক করেছে।
ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে বিক্ষোভ চলার সময় এক হাজার ২০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীকে বন্দি করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক এই ঘটনা নিয়ে জান্তা সরকার এখনও কোন মন্তব্য করেনি, তবে এর আগে সেনা সরকার সহিংসতায় উস্কানি দেওয়ার জন্য প্রতিবাদকারীদেরই দায়ী করেছে।
মিয়ানমারে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে গতকাল রবিবার (৫ ডিসেম্বর) ইয়াঙ্গুনে অন্তত তিনটি বিক্ষোভ হয়েছে। সৈন্যরা বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানোর পর থেকে তারা ছোট ছোট দলে সংগঠিত হয়ে বিক্ষোভ করে, যাতে হতাহতের সংখ্যা কম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ইয়াঙ্গুনে প্রতিবাদকারীরা সমাবেশে হঠাৎ করে জড়ো হয় এবং তারা জড়ো হবার কয়েক মিনিটের মধ্যে সৈন্যরা তাদের ওপর গাড়ি উঠিয়ে দেয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমাকে একটা ট্রাক ধাক্কা মারে এবং আমি ট্রাকের সামনে মাটিতে পড়ে যাই। একজন সৈন্য আমাকে রাইফেলের বাঁট দিয়ে মারে। কিন্তু আমি তাকে ঠেলে সরিয়ে দিই। তারপর সে আমাকে লক্ষ্য করে সাথে সাথে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। আমি এঁকেবেঁকে ছুটছিলাম এবং সৌভাগ্যবশত আমি পালাতে সক্ষম হই।
জাতিসংঘ বলেছে, সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হতে পারে। তবে জাতিসংঘের দূতকে ঘটনার তদন্ত করতে কয়েকবার মিয়ানমারে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়েছে। -বিবিসি