নিউইয়র্ক ০২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

টিকাবিরোধী বিক্ষোভ ইউরোপজুড়ে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২
  • / ৫২ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতি মহামারি করোনাভাইরাসের টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা যাবে না। টিকা সার্টিফিকেট নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না। এই দাবিতে পুরো ইউরোপজুড়ে চলছে প্রতিবাদসভা ও মিছিল।

ব্রাসেলস থেকে অস্ট্রিয়া, চেক রিপাবলিক থেকে জার্মানি- সর্বত্র হচ্ছে টিকাবিরোধী বিক্ষোভ। হাজার হাজার মানুষ মাস্ক না পরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবি, টিকা সনদ (ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট) নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না।

যারা টিকা নেননি, তাদেরও সব জায়গায় যেতে দিতে হবে। কোভিড-১৯ বিধি নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না। এবং কোনো কোনো পেশার ক্ষেত্রে টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করার যে পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন দেশের সরকার, তা বাতিল করতে হবে।

এদিকে গত কয়েকদিনে ইউরোপের একাধিক দেশে কোভিডের বিপুল বৃদ্ধি ঘটেছে। বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। চিকিৎসকরা বলছেন, যাদের টিকা নেয়া নেই, তারাই এবার হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন।

বেলজিয়াম: বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে রোববার সারাদিন প্রতিবাদ চলে। প্রায় ৫ হাজার মানুষ মাস্ক না পরে সেই প্রতিবাদসভায় অংশ নেন। তাদের হাতের পোস্টারে লেখা ছিল, টিকা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। ‘টিকা একনায়কতন্ত্র’ বন্ধ করতে হবে।

বস্তুত, বেলজিয়ামে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট না দেখালে রেস্তোরাঁ ও পানশালায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। একেই টিকা একনায়কতন্ত্র বলে চিহ্নিত করছেন বিক্ষোভকারীরা।

আগের দিন শনিবারেও বেলজিয়ামে প্রতিবাদসভা হয়েছে। রোববারের সভা থেকে প্রথমে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের হাতে আতসবাজি ছিল। পরে পুলিশের উপর আক্রমণের অভিযোগে আরও ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে, গত এক সপ্তাহে বেলজিয়ামে হাসপাতালে ভর্তির হার ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়েছে ৯৬ শতাংশ।

চেক রিপাবলিক: চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগের অবস্থাও একই রকম। সেখানে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। সম্প্রতি চেক রিপাবলিকের সরকার একটি নতুন নিয়ম চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে।

পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী, দমকলকর্মী, ছাত্রদের টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। ৬০ বছরের উপরের ব্যক্তিদেরও টিকা বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে। এরই প্রতিবাদে রোববার রাস্তায় নামে টিকাবিরোধী জনগণ। তাদের স্লোগান ছিল ‘স্বাধীনতা চাই’। দ্রুত নতুন নিয়ম বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বস্তুত, প্রতিবাদের মুখে কিছুটা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে দেশের প্রশাসন। ৬০ বছরের উপরের ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক টিকার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।

অস্ট্রিয়া: অস্ট্রিয়াতেও রোববার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। সব মিলিয়ে গোটা ইউরোপ জুড়েই টিকাবিরোধী প্রতিবাদ চলছে। যার জেরে কোভিড-১৯ আরও বাড়বে বলে চিকিৎসকদের আশঙ্কা।

জার্মানি: গত কিছুদিন ধরে জার্মানির একাধিক শহরে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। হ্যামবুর্গ থেকে ডুসেলডর্ফ- হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে টিকার বিরোধিতা করছেন। টিকা পাসেরও বিরোধী তারা।

করোনার জন্য সরকার যে সব বিধিনিষেধ চালু করেছে, তারও বিরোধী তারা। বস্তুত, জার্মানির রাস্তায় সহিংস প্রতিবাদও হয়েছে। কাঁদানে গ্যাস চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরাতে হয়েছে পুলিশকে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
হককথা /এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

টিকাবিরোধী বিক্ষোভ ইউরোপজুড়ে

প্রকাশের সময় : ১২:২৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতি মহামারি করোনাভাইরাসের টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা যাবে না। টিকা সার্টিফিকেট নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না। এই দাবিতে পুরো ইউরোপজুড়ে চলছে প্রতিবাদসভা ও মিছিল।

ব্রাসেলস থেকে অস্ট্রিয়া, চেক রিপাবলিক থেকে জার্মানি- সর্বত্র হচ্ছে টিকাবিরোধী বিক্ষোভ। হাজার হাজার মানুষ মাস্ক না পরে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। তাদের দাবি, টিকা সনদ (ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট) নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না।

যারা টিকা নেননি, তাদেরও সব জায়গায় যেতে দিতে হবে। কোভিড-১৯ বিধি নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না। এবং কোনো কোনো পেশার ক্ষেত্রে টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করার যে পরিকল্পনা করছে বিভিন্ন দেশের সরকার, তা বাতিল করতে হবে।

এদিকে গত কয়েকদিনে ইউরোপের একাধিক দেশে কোভিডের বিপুল বৃদ্ধি ঘটেছে। বেড়েছে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও। চিকিৎসকরা বলছেন, যাদের টিকা নেয়া নেই, তারাই এবার হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছেন।

বেলজিয়াম: বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে রোববার সারাদিন প্রতিবাদ চলে। প্রায় ৫ হাজার মানুষ মাস্ক না পরে সেই প্রতিবাদসভায় অংশ নেন। তাদের হাতের পোস্টারে লেখা ছিল, টিকা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। ‘টিকা একনায়কতন্ত্র’ বন্ধ করতে হবে।

বস্তুত, বেলজিয়ামে ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট না দেখালে রেস্তোরাঁ ও পানশালায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। একেই টিকা একনায়কতন্ত্র বলে চিহ্নিত করছেন বিক্ষোভকারীরা।

আগের দিন শনিবারেও বেলজিয়ামে প্রতিবাদসভা হয়েছে। রোববারের সভা থেকে প্রথমে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের হাতে আতসবাজি ছিল। পরে পুলিশের উপর আক্রমণের অভিযোগে আরও ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে, গত এক সপ্তাহে বেলজিয়ামে হাসপাতালে ভর্তির হার ২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়েছে ৯৬ শতাংশ।

চেক রিপাবলিক: চেক রিপাবলিকের রাজধানী প্রাগের অবস্থাও একই রকম। সেখানে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। সম্প্রতি চেক রিপাবলিকের সরকার একটি নতুন নিয়ম চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে।

পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মী, দমকলকর্মী, ছাত্রদের টিকা নেয়া বাধ্যতামূলক করা হবে। ৬০ বছরের উপরের ব্যক্তিদেরও টিকা বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে। এরই প্রতিবাদে রোববার রাস্তায় নামে টিকাবিরোধী জনগণ। তাদের স্লোগান ছিল ‘স্বাধীনতা চাই’। দ্রুত নতুন নিয়ম বাতিলের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বস্তুত, প্রতিবাদের মুখে কিছুটা পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে দেশের প্রশাসন। ৬০ বছরের উপরের ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক টিকার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে বলে জানানো হয়েছে।

অস্ট্রিয়া: অস্ট্রিয়াতেও রোববার প্রায় ৪০ হাজার মানুষ প্রতিবাদ দেখিয়েছেন। সব মিলিয়ে গোটা ইউরোপ জুড়েই টিকাবিরোধী প্রতিবাদ চলছে। যার জেরে কোভিড-১৯ আরও বাড়বে বলে চিকিৎসকদের আশঙ্কা।

জার্মানি: গত কিছুদিন ধরে জার্মানির একাধিক শহরে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। হ্যামবুর্গ থেকে ডুসেলডর্ফ- হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে টিকার বিরোধিতা করছেন। টিকা পাসেরও বিরোধী তারা।

করোনার জন্য সরকার যে সব বিধিনিষেধ চালু করেছে, তারও বিরোধী তারা। বস্তুত, জার্মানির রাস্তায় সহিংস প্রতিবাদও হয়েছে। কাঁদানে গ্যাস চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরাতে হয়েছে পুলিশকে। সূত্র: ডয়েচে ভেলে
হককথা /এমউএ