নিউইয়র্ক ০৯:১০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

টরন্টোয় বিক্ষোভের মাঝেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবর্ধিত : বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ রসাতলে যাবে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুন ২০১৮
  • / ১৩৪৬ বার পঠিত

টরন্টো (কানাডা): বিএনপি জোটের শাসনামলে বাজেট হতো মাত্র ১৯ হাজার কোটি টাকার, এখন আমাদের শাসনামলে তা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকায়। সেটির ৯০ শতাংশই নিজস্ব অর্থায়নে হবে। নিজ সরকারের অগ্রগতির বিবরণ দিতে গিয়ে এমনটাই সমবেত প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ১০ জুন রোববার সন্ধ্যায় মেট্রো কনভেনশন হলে তার সম্মানে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় সে কথারই অনুরণন ঘটে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেই জি-৭ আউটরিচ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশে যে উন্নয়নের ধারাটা সূচিত হয়েছে, সেটির ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এতে প্রকারান্তরে ওই নাগরিক সংবর্ধনায় আওয়ামী লীগ সরকারের আবারও ক্ষমতাসীন হওয়ার গুরুত্বটি প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা দিয়েছে সেনাবাহিনী সমর্থিত তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আদালত সেই রায়ে তাকে সাজা দিয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগ সরকারের কিছু নেই।
কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মাহমুদ মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রিন্সের সঞ্চালনায় ওই সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল হক হানিফ। এছাড়াও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে সেলিম ইরতাদ জুবেরি, আবদুস সালাম, হাসিনা আকতার জানু প্রমুখ।
অন্যদিকে একই সময়ে ওই অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন তথা সিবিসির সম্মুখে স্থানীয় বিএনপি এবং কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল ও পিস অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালায়েন্সের শতাধিক বিক্ষোভকারী নানা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে সমবেত হন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সচিত্র কটাক্ষপূর্ণ বক্তব্য প্রদর্শনসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে চলমান বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, মানবাধিকার লংঘন ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতি আন্তর্জাতিক কমিউনিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। একই সঙ্গে তাতে গুরুত্বারোপ করে হ্যান্ডমাইকে বক্তব্য রাখেন কানাডা বিএনপির সভাপতি আহাদ খন্দকার ছাড়াও মাহাবুব রব চৌধুরী, মালিহা মনসুর, মিলন হক, এজাজ খান, জাকির খান, ড. সিরাজুল চৌধুরী, জাকারিয়া চৌধুরী প্রমুখ।
টরন্টোতে প্রাপ্ত অপর এক খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি যেন অব্যাহত থাকে সবাইকে সে বিষয়টা দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন। রোববার স্থানীয় সময় বিকেলে মেট্রো টরন্টো মেট্রো কনভেনশন সেন্টারে কানাডিয়ান আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যেটুকু করতে চেয়েছি তার চেয়ে বেশি কাজ করেছি। বিদ্যুৎ, শিক্ষা, চিকিৎসা, অবকাঠামো উন্নয়ন, মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। এসময় আগামীতে দেশকে আরো উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসের মদতদাতা বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় এলে দেশটা রসাতলে যাবে। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়তে হবে। আমরা দেশকে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
উন্নয়ন-অগ্রগতিতে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলেই জি-৭ আউটরিচ সম্মেলনে তারা বাংলাদেশকে দাওয়াত করেছে। আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন ও সে সময়কার সহিংসতার কথা উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশে নির্বাচনী অপকর্ম বিএনপি ও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান শুরু করেছেন বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছি। আন্দোলন সংগ্রাম করে নির্বাচনে সুষ্ঠু ধারা প্রতিষ্ঠিত করেছি। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বিভিন্ন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের জয়ী হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন নির্বাচনে তাদের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। আমরা তো জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে যাইনি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

টরন্টোয় বিক্ষোভের মাঝেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবর্ধিত : বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এলে দেশ রসাতলে যাবে

প্রকাশের সময় : ০৮:১৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ জুন ২০১৮

টরন্টো (কানাডা): বিএনপি জোটের শাসনামলে বাজেট হতো মাত্র ১৯ হাজার কোটি টাকার, এখন আমাদের শাসনামলে তা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকায়। সেটির ৯০ শতাংশই নিজস্ব অর্থায়নে হবে। নিজ সরকারের অগ্রগতির বিবরণ দিতে গিয়ে এমনটাই সমবেত প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ১০ জুন রোববার সন্ধ্যায় মেট্রো কনভেনশন হলে তার সম্মানে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় সে কথারই অনুরণন ঘটে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেই জি-৭ আউটরিচ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দেশে যে উন্নয়নের ধারাটা সূচিত হয়েছে, সেটির ধারাবাহিকতা রক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এতে প্রকারান্তরে ওই নাগরিক সংবর্ধনায় আওয়ামী লীগ সরকারের আবারও ক্ষমতাসীন হওয়ার গুরুত্বটি প্রকাশ পেয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা দিয়েছে সেনাবাহিনী সমর্থিত তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আদালত সেই রায়ে তাকে সাজা দিয়েছেন। এখানে আওয়ামী লীগ সরকারের কিছু নেই।
কানাডা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মাহমুদ মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান প্রিন্সের সঞ্চালনায় ওই সংবর্ধনায় বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল হক হানিফ। এছাড়াও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে সেলিম ইরতাদ জুবেরি, আবদুস সালাম, হাসিনা আকতার জানু প্রমুখ।
অন্যদিকে একই সময়ে ওই অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম কানাডিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন তথা সিবিসির সম্মুখে স্থানীয় বিএনপি এবং কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল ও পিস অ্যান্ড জাস্টিস অ্যালায়েন্সের শতাধিক বিক্ষোভকারী নানা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে সমবেত হন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি সচিত্র কটাক্ষপূর্ণ বক্তব্য প্রদর্শনসহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে চলমান বিচার বহির্ভূত হত্যা, গুম, মানবাধিকার লংঘন ও অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার প্রতি আন্তর্জাতিক কমিউনিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। একই সঙ্গে তাতে গুরুত্বারোপ করে হ্যান্ডমাইকে বক্তব্য রাখেন কানাডা বিএনপির সভাপতি আহাদ খন্দকার ছাড়াও মাহাবুব রব চৌধুরী, মালিহা মনসুর, মিলন হক, এজাজ খান, জাকির খান, ড. সিরাজুল চৌধুরী, জাকারিয়া চৌধুরী প্রমুখ।
টরন্টোতে প্রাপ্ত অপর এক খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শেখ হাসিনা নির্বাচন যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি যেন অব্যাহত থাকে সবাইকে সে বিষয়টা দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন। রোববার স্থানীয় সময় বিকেলে মেট্রো টরন্টো মেট্রো কনভেনশন সেন্টারে কানাডিয়ান আওয়ামী লীগ আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন। দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যেটুকু করতে চেয়েছি তার চেয়ে বেশি কাজ করেছি। বিদ্যুৎ, শিক্ষা, চিকিৎসা, অবকাঠামো উন্নয়ন, মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের সফলতার কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। এসময় আগামীতে দেশকে আরো উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসের মদতদাতা বিএনপি-জামায়াত আবার ক্ষমতায় এলে দেশটা রসাতলে যাবে। বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়তে হবে। আমরা দেশকে ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে এবং ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
উন্নয়ন-অগ্রগতিতে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সম্মান বৃদ্ধির বিষয়টি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে বলেই জি-৭ আউটরিচ সম্মেলনে তারা বাংলাদেশকে দাওয়াত করেছে। আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন ও সে সময়কার সহিংসতার কথা উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশে নির্বাচনী অপকর্ম বিএনপি ও দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান শুরু করেছেন বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছি। আন্দোলন সংগ্রাম করে নির্বাচনে সুষ্ঠু ধারা প্রতিষ্ঠিত করেছি। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বিভিন্ন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের জয়ী হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন নির্বাচনে তাদের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। আমরা তো জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে যাইনি।