আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ১৩৩ জন আরোহী নিয়ে একটি প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের এই বোয়িং ৭৩৭ বিমানটি কুনমিং থেকে গুয়াংঝু যাওয়ার পথে গুয়াংশি এলাকায় বিধ্বস্ত হয় এবং এটিতে আগুন ধরে যায়। আশঙ্কা করা হচ্ছে বিমানটিতে একজন আরোহীও জীবিত নেই।
তবে হতাহতের বিস্তারিত এবং বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ এখনো জানা যায়নি। এমনিতে চীনা বিমান চলাচলকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অতীত নিরাপত্তা ইতিহাস ভালো। দেশটিতে শেষ বড় বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ১২ বছর আগে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর জঙ্গলে আগুন ধরে যায়। আগুন অবশ্য এখন নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া স্থানীয়দের ধারণ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, পাহাড় জুড়ে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে আছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া উড়ছে ও আগুনের শিখা দেখা যাচ্ছে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমও এই ভিডিওগুলো শেয়ার করেছে।
চীনে সর্বশেষ বড় বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১০ সালের অগাস্ট মাসে। হারবিন থেকে আসা একটি বিমান ইচুনে বিধ্বস্ত হলে ৪২ জনের প্রাণহানী ঘটে।
সোমবারের দুর্ঘটনা নিয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি চায়না ইস্টার্ন। কোনো প্রশ্নে তারা সাড়াও দেয়নি।
তবে স্থানীয় গণমাধ্যম খবর দিচ্ছে, চীনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম উইবো অ্যাকাউন্টে প্রতিষ্ঠানটি তাদের পাতার লোগো ধূসর করে দিয়েছে।
এছাড়া ওয়েবসাইটের রং সাদাকালো করে দিয়েছে, যা দেখে মনে হচ্ছে তারা শোক পালন করছে।
চীনের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ঘটনাস্থলে তদন্তকারী দল পাঠিয়ে দিয়েছে।
ফ্লাইট এমইউ ৫৭৩৫ গুয়াংঝুর পথে ছিল এবং স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া একটায় এটির কুনমিং ত্যাগ করার কথা ছিল।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং সাইটগুলো বলছে, বিমানটি ঘন্টাখানেকের বেশি আকাশে ছিল এবং বিধ্বস্ত হওয়ার আগে গন্তব্যের প্রায় কাছে পৌঁছে গিয়েছিল।
ফ্লাইটরেডার ২৪ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা বাইশ মিনিটে এটির সর্বশেষ অবস্থান জানা যায় এবং তখন এটি আকাশের ৩২২৫ ফুট উঁচুতে অবস্থান করছিল।
হককথা/এমউএ