নিউইয়র্ক ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চীনে বিমান বিধ্বস্ত, সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:০১:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
  • / ২৩ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে বিমান বিধ্বস্ত, সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে১৩২ জনকে নিয়ে উড়েছিল বিমানটি
একটি চীনা যাত্রীবাহী বিমান দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় পাহাড়ী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে ১৩২ জন যাত্রী ও ক্রু ছিল। এই ঘটনার ১৮ ঘণ্টাও বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি চীন। তবে বিমান যেভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে তাতে কারো বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
চীনের বেসরকারি বিমান চলাচল সংস্থা জানায়, এমইউ-৫৭৩৫ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় কুনমিং থেকে গুয়ানঝোউর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপর ফ্লাইট ট্র্যাকার ফ্লাইটরাডার-২৪ বিমানটির অবস্থান ‘অজ্ঞাত’ দেখায়। পরে গুয়ানসি অঞ্চলের উঝোউ শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বোয়িং-৭৩৭ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ফ্লাইট ট্রাকার ফ্লাইটরাডার-২৪ এর তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি মাত্র সোয়া দুই মিনিটে ২৯ হাজার একশ ফুট থেকে ৯ হাজার ৭৫ ফুট নিচে নেমে আসে। এর পরের ২০ সেকেন্ডে আরও নিচে নামে বিমানটি। তিন হাজার ২২৫ ফুটের পর বিমানটি থেকে তথ্য আসা বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত ওই উচ্চতা থেকে নামতে একটি বিমানের সময় লাগে ৩০ মিনিটের মতো। স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২২মিনিটের পর ফ্লাইটরাডার-২৪ বিমান থেকে কোনো তথ্য পায়নি।
বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব
১৩২ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া চীনের সেই বিমানের আরোহীদের বেঁচে থাকা সম্ভাবনা নেই। উদ্ধারকর্মীরা বিধ্বস্ত বিমানে কারো বেঁচে থাকার কোনো প্রমাণ পাননি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উদ্ধারকর্মীরা পাহাড়ি এলাকা থেকে বিমানের টুকরাগুলো উদ্ধার করছেন। তবে এখনও কোনো মরদেহের সন্ধান মিলেছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি।
অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী বিমানটিতে কোনো বিদেশি নাগরিক ছিল না বলে নিশ্চিত করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এরই মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
কোনো মন্তব্য করেনি চায়না ইস্টার্ন
সোমবারের দুর্ঘটনা নিয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি বিধ্বস্ত বিমানটির মালিক চায়না ইস্টার্ন। কোনো প্রশ্নেও সাড়া দেয়নি তারা। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম উইবো অ্যাকাউন্টে প্রতিষ্ঠানটি তাদের পাতার লোগো ধূসর করে দিয়েছে।
এছাড়া ওয়েবসাইটের রং সাদাকালো করে দিয়েছে, যা দেখে মনে হচ্ছে তারা শোক পালন করছে।
অপেক্ষায় পরিবার
বিমানে থাকা যাত্রী ও ক্রুদের পরিবার তাদের প্রিয়জনের অপেক্ষায় রয়েছেন। জীবিত হোক বা মৃত তারা তাদের প্রিয়জনকে কাছে চান। অন্তত প্রিয়জনের যেন শেষ বিদায় ঠিকমতো করতে পারেন এটুকুই চাওয়া তাদের। তবে তাদের উৎকণ্ঠার এখনো কোনো জবাব মেলেনি।
শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন পাইলট
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে যে, বিমান ও ফ্লাইটে থাকা সকলকে বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন পাইলট।
বিস্তারিত কিছু জানায়নি চীন
চীনের সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএএসি) এবং চায়না ইস্টার্ন উভয়ই বলেছে যে তারা দুর্ঘটনাস্থলে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে। তবে এর বেশিকিছু জানানো হয়নি।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে এবং এ বিষয়ে যে ধরনের সহায়তা লাগে তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
চীনা বিমানের নিরাপত্তার ইতিহাস
এমনিতে চীনা বিমান চলাচলকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অতীত নিরাপত্তা ইতিহাস ভাল। এই দুর্ঘটনার আগ পর্যন্ত চীন বিশ্বব্যাপী বেসামরিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে ৪ হাজার ২২৭টি নিরাপদ ফ্লাইট শেষ করেছে। চীনে সর্বশেষ বড় বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ১২ বছর আগে ২০১০ সালের অগাস্ট মাসে। হারবিন থেকে আসা একটি বিমান ইচুনে বিধ্বস্ত হলে ৪২ জনের প্রাণহানী ঘটে।
সূত্র: সিনহুয়া, গ্লোবাল টাইমস, ডেইলি মেইল ও রয়টার্স।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চীনে বিমান বিধ্বস্ত, সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে

প্রকাশের সময় : ০২:০১:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনে বিমান বিধ্বস্ত, সর্বশেষ যা জানা যাচ্ছে১৩২ জনকে নিয়ে উড়েছিল বিমানটি
একটি চীনা যাত্রীবাহী বিমান দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় পাহাড়ী এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে ১৩২ জন যাত্রী ও ক্রু ছিল। এই ঘটনার ১৮ ঘণ্টাও বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি চীন। তবে বিমান যেভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে তাতে কারো বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
চীনের বেসরকারি বিমান চলাচল সংস্থা জানায়, এমইউ-৫৭৩৫ ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় কুনমিং থেকে গুয়ানঝোউর উদ্দেশে ছেড়ে যায়। এরপর ফ্লাইট ট্র্যাকার ফ্লাইটরাডার-২৪ বিমানটির অবস্থান ‘অজ্ঞাত’ দেখায়। পরে গুয়ানসি অঞ্চলের উঝোউ শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বোয়িং-৭৩৭ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
ফ্লাইট ট্রাকার ফ্লাইটরাডার-২৪ এর তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি মাত্র সোয়া দুই মিনিটে ২৯ হাজার একশ ফুট থেকে ৯ হাজার ৭৫ ফুট নিচে নেমে আসে। এর পরের ২০ সেকেন্ডে আরও নিচে নামে বিমানটি। তিন হাজার ২২৫ ফুটের পর বিমানটি থেকে তথ্য আসা বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণত ওই উচ্চতা থেকে নামতে একটি বিমানের সময় লাগে ৩০ মিনিটের মতো। স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২২মিনিটের পর ফ্লাইটরাডার-২৪ বিমান থেকে কোনো তথ্য পায়নি।
বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব
১৩২ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া চীনের সেই বিমানের আরোহীদের বেঁচে থাকা সম্ভাবনা নেই। উদ্ধারকর্মীরা বিধ্বস্ত বিমানে কারো বেঁচে থাকার কোনো প্রমাণ পাননি।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উদ্ধারকর্মীরা পাহাড়ি এলাকা থেকে বিমানের টুকরাগুলো উদ্ধার করছেন। তবে এখনও কোনো মরদেহের সন্ধান মিলেছে কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি।
অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী বিমানটিতে কোনো বিদেশি নাগরিক ছিল না বলে নিশ্চিত করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এরই মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
কোনো মন্তব্য করেনি চায়না ইস্টার্ন
সোমবারের দুর্ঘটনা নিয়ে এখনো কোনো বক্তব্য দেয়নি বিধ্বস্ত বিমানটির মালিক চায়না ইস্টার্ন। কোনো প্রশ্নেও সাড়া দেয়নি তারা। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম উইবো অ্যাকাউন্টে প্রতিষ্ঠানটি তাদের পাতার লোগো ধূসর করে দিয়েছে।
এছাড়া ওয়েবসাইটের রং সাদাকালো করে দিয়েছে, যা দেখে মনে হচ্ছে তারা শোক পালন করছে।
অপেক্ষায় পরিবার
বিমানে থাকা যাত্রী ও ক্রুদের পরিবার তাদের প্রিয়জনের অপেক্ষায় রয়েছেন। জীবিত হোক বা মৃত তারা তাদের প্রিয়জনকে কাছে চান। অন্তত প্রিয়জনের যেন শেষ বিদায় ঠিকমতো করতে পারেন এটুকুই চাওয়া তাদের। তবে তাদের উৎকণ্ঠার এখনো কোনো জবাব মেলেনি।
শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছিলেন পাইলট
ডেইলি মেইলের খবরে বলা হয়েছে যে, বিমান ও ফ্লাইটে থাকা সকলকে বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছেন পাইলট।
বিস্তারিত কিছু জানায়নি চীন
চীনের সিভিল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএএসি) এবং চায়না ইস্টার্ন উভয়ই বলেছে যে তারা দুর্ঘটনাস্থলে কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছে। তবে এর বেশিকিছু জানানো হয়নি।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে এবং এ বিষয়ে যে ধরনের সহায়তা লাগে তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
চীনা বিমানের নিরাপত্তার ইতিহাস
এমনিতে চীনা বিমান চলাচলকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অতীত নিরাপত্তা ইতিহাস ভাল। এই দুর্ঘটনার আগ পর্যন্ত চীন বিশ্বব্যাপী বেসামরিক বিমান চলাচলের ইতিহাসে ৪ হাজার ২২৭টি নিরাপদ ফ্লাইট শেষ করেছে। চীনে সর্বশেষ বড় বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল ১২ বছর আগে ২০১০ সালের অগাস্ট মাসে। হারবিন থেকে আসা একটি বিমান ইচুনে বিধ্বস্ত হলে ৪২ জনের প্রাণহানী ঘটে।
সূত্র: সিনহুয়া, গ্লোবাল টাইমস, ডেইলি মেইল ও রয়টার্স।
হককথা/এমউএ