‘কেয়ামত শুরু হয়ে গেছে-তখন এটাই ভেবেছিলাম ’

- প্রকাশের সময় : ১২:২৩:০৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
- / ৪৮ বার পঠিত
’তুরস্কের কাহরামানমারাস প্রদেশের বাসিন্দা মেলিসা ভয়াবহ ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে বলেন, ‘আজকের মতো অভিজ্ঞতা আমাদের জীবনে প্রথম। ভেবেছিলাম কেয়ামত শুরু হয়ে গেছে।’ এদিকে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ওসমানিয়ে শহরের একজন নারী বিবিসিকে জানান, ভূমিকম্পে তিনি ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। এখন তাদের থাকার জন্য একটি বিছানাও নেই।
এই শহরের রাস্তার সর্বত্র ধ্বংসস্তূপ। বহুতল ভবনগুলোর অধিকাংশ ধসে পড়েছে। ধসে পড়া অনেক ভবনের ধ্বংসস্তূপ এখনও সরানোর কাজ শুরু হয়নি। সুপার মার্কেটগুলো ভেঙেচুরে দুমড়ে-মুচড়ে রয়েছে। দোকানগুলোর সামনে ভাঙা কাঁচের টুকরো। শহরের মূল অংশে যাওয়ার অনেক রাস্তায় বন্ধ হয়ে পড়েছে। ব্রিজগুলো ভেঙে পড়েছে। পুরো এলাকা অন্ধকার। এরই মাঝে রাস্তায় কাঠ দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে অব্স্থান নিয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তাদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। কান্না থামছেই না। একটু কম্পনের অনুভূতি হলেই দৌড়ে রাস্তার মাঝখানে এসে দাঁড়াচ্ছেন মানুষগুলো।
৮৪ বছরের মধ্যে এটাকে তুরস্কের সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ বলে বর্ণনা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান। সাত দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন তিনি। ১৯৩৯ সালে তুরস্কের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এরজিনকানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প ৩০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল। ২০২১ সালের অগাস্টের পর একে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সোমবার ভোরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এ ভূকম্পন অনুভূত হয়। একই সঙ্গে কেঁপে ওঠে লেবানন, ফিলিস্তিন, ইসরায়েল, সাইপ্রাস, স্পেন, গ্রীনল্যান্ডসহ অনেক দেশ। সূত্রঃ বাংলাভিশন