কানাডায় মসজিদে গুলি, ৫ মুসল্লি নিহত
- প্রকাশের সময় : ১২:৩৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৭
- / ৯৩৩ বার পঠিত
কানাডা: কানাডার একটি মসজিদে অস্ত্রধারীরা গুলি করে হত্যা করেছে কমপক্ষে ৫ মুসল্লিকে। আহত হয়েছেন অনেকে। এ হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হিসেবে সন্দেহ করা হয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে কানাডার সেইন্টে-ফয় এলাকার কুইবেক সিটি ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে। রোববার মাগরিবের নামাজ আদায় করার সময় সেখানে তিন অস্ত্রধারী প্রবেশ করে গুলি চালানো শুরু করে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ সময় ওই মসজিদের ভিতরে অবস্থান করছিলেন প্রায় ৪০ জন মুসল্লি। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন মিরর।
ওই ঘটনার পর ওই এলাকায় এক ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। মসজিদের মেঝে ভেসে যায় মুসল্লিদের রক্তে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্স, সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা। পুলিশ নিশ্চিত করে বলেছে যে, সন্দেহজনকভাবে দু’ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাদের এক মুখপাত্র বলেছেন, তৃতীয় সন্দেহভাজন এ ঘটনায় জড়িত এ সন্দেহকে এড়িয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছে। হামলায় অনেককে আহত হয়েছে। অনেক মানুষ নিহত হয়েছে। আটক করা দু’জনের মধ্যে একজনের কাছে পাওয়া গেছে একে-৪৭ রাইফেল। তাদের একজনের বয়স ২৭ বছর। তার রয়েছে কুইবেক ঘরানার নাম। রেডিও কানাডা বলেছে, আটক দু’ব্যক্তিরই কুইবেক ঘরানার নাম রয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ হামলাকে কাপুরুষোচিত বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন নিহতদের স্বজনদের প্রতি।
ওই মসজিদের সভাপতি মোহামেদ ইয়াঙগুই বলেছেন, এখানে কেন এসব ঘটছে? এ ঘটনা বর্বরোচিত। হামলার সময় মসজিদের ভিতরে উপস্থিত ছিলেন না ইয়াঙগুই। কুইবেকের মুখ্যমন্ত্রী ফিলিপ কোলার্ড টুইটে বলেছেন, কুইবেক এই বর্বরোচিত সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে। এর আগে ২০১৩ সালে সাগুয়েনে অঞ্চলে একটি মসজিদে রক্ত ছিটিয়ে রাখার ঘটনা তদন্ত করে পুলিশ। ধারণা করা হয়, ওই মসজিদটিতে শূকরের রক্ত ছিটিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া পার্শ্ববর্তী প্রদেশ অন্টারিওতে ২০১৫ সালে একটি মসজিদে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছিল। এ ঘটনা ঘটেছিল প্যারিসে আত্মঘাতী বোমা হামলার পরে। ২০১৬ সালের জুনে একটি ইসলামিক সেন্টারের দরজায় ফেলে রাখা হয় শূকরের মাথা। (মানবজমিন)