নিউইয়র্ক ০৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ইউক্রেনে নতুন লক্ষ্যের ঘোষণা রাশিয়ার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২
  • / ৬০ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে অভিযানের প্রথম ধাপ সম্পন্নের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। এর পাশাপাশি ইউক্রেনে আক্রমণের নতুন লক্ষ্যের কথা জানাল বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি দেশটি।
বিবিসি বলছে, ইউক্রেনে রণকৌশলে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে রাশিয়ার নতুন ঘোষণা। পূর্বাঞ্চলকে ‘মুক্ত’ করার দিকে আক্রমণের লক্ষ্যস্থির করার কথা জানিয়েছে রাশিয়া।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় এমনটা জানানো হয়।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় বলা হয়, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। এখন পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলকে পুরোপুরি স্বাধীন করার দিকে মনোযোগ দেবে রুশ সেনারা।
মস্কো জানিয়েছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের লুহানস্ক প্রদেশ ও ডোনেটস্ক অঞ্চল একসঙ্গে ডনবাস নামে পরিচিত। এর মধ্যে লুহানস্ক প্রদেশের ৯৩ শতাংশ এবং ডোনেটস্ক অঞ্চলের ৫৪ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সমর্থক বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, ইউক্রেন অভিযানে প্রাথমিক লক্ষ্যগুলো সম্পন্ন হয়েছে। ইউক্রেনের লড়াইয়ের সক্ষমতাও কমেছে।
বিশ্লেষকরা ধারনা করছেন, প্রবল প্রতিরোধের মুখে ইউক্রেনে সামগ্রিক যুদ্ধের পরিবর্তে কিছু ছোট ছোট লক্ষ্য সামনে রেখে এগুবে রাশিয়া।
শনিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে বৈশ্বিত পর্যায়ে অনেকটাই একা হয়ে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। রাশিয়ার ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তাতে চাপের মুখে রয়েছে মস্কো। সুযোগ পাচ্ছেন রাশিয়ার ভিন্ন মতাবলম্বীরা। তারা পুতিন সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শনিবার বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ করাটা এখন রাশিয়ার লক্ষ্য। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটা তাদের যুদ্ধকৌশলের পরিবর্তনের ইঙ্গিত। সেইসঙ্গে রাশিয়ার সুরও নমনীয় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইউক্রেনে তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে। তারা ইউক্রেনকে দুর্বল করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু ইউক্রেন কতোটা দুর্বল হয়েছে, সেটা বুঝা কঠিন। কারণ, তাদের কাছে অস্ত্র আসছে- কখনো প্রকাশ্যে, কখনো গোপনে।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর দুই দিন আগে ইউক্রেনের ডোনেটস্ক ও লুহানেস্কো অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করে মস্কো।
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ইউক্রেনে নতুন লক্ষ্যের ঘোষণা রাশিয়ার

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৬:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ মার্চ ২০২২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেনে অভিযানের প্রথম ধাপ সম্পন্নের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। এর পাশাপাশি ইউক্রেনে আক্রমণের নতুন লক্ষ্যের কথা জানাল বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি দেশটি।
বিবিসি বলছে, ইউক্রেনে রণকৌশলে সম্ভাব্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে রাশিয়ার নতুন ঘোষণা। পূর্বাঞ্চলকে ‘মুক্ত’ করার দিকে আক্রমণের লক্ষ্যস্থির করার কথা জানিয়েছে রাশিয়া।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় এমনটা জানানো হয়।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় বলা হয়, ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। এখন পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলকে পুরোপুরি স্বাধীন করার দিকে মনোযোগ দেবে রুশ সেনারা।
মস্কো জানিয়েছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের লুহানস্ক প্রদেশ ও ডোনেটস্ক অঞ্চল একসঙ্গে ডনবাস নামে পরিচিত। এর মধ্যে লুহানস্ক প্রদেশের ৯৩ শতাংশ এবং ডোনেটস্ক অঞ্চলের ৫৪ শতাংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সমর্থক বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করে, ইউক্রেন অভিযানে প্রাথমিক লক্ষ্যগুলো সম্পন্ন হয়েছে। ইউক্রেনের লড়াইয়ের সক্ষমতাও কমেছে।
বিশ্লেষকরা ধারনা করছেন, প্রবল প্রতিরোধের মুখে ইউক্রেনে সামগ্রিক যুদ্ধের পরিবর্তে কিছু ছোট ছোট লক্ষ্য সামনে রেখে এগুবে রাশিয়া।
শনিবার আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনে আগ্রাসনের জেরে বৈশ্বিত পর্যায়ে অনেকটাই একা হয়ে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। রাশিয়ার ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তাতে চাপের মুখে রয়েছে মস্কো। সুযোগ পাচ্ছেন রাশিয়ার ভিন্ন মতাবলম্বীরা। তারা পুতিন সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়ছেন না।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শনিবার বিবিসি জানায়, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলকে ‘স্বাধীন’ করাটা এখন রাশিয়ার লক্ষ্য। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটা তাদের যুদ্ধকৌশলের পরিবর্তনের ইঙ্গিত। সেইসঙ্গে রাশিয়ার সুরও নমনীয় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, ইউক্রেনে তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য পূর্ণ হয়েছে। তারা ইউক্রেনকে দুর্বল করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু ইউক্রেন কতোটা দুর্বল হয়েছে, সেটা বুঝা কঠিন। কারণ, তাদের কাছে অস্ত্র আসছে- কখনো প্রকাশ্যে, কখনো গোপনে।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরু করে রাশিয়া। এর দুই দিন আগে ইউক্রেনের ডোনেটস্ক ও লুহানেস্কো অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করে মস্কো।
হককথা/এমউএ