নিউইয়র্ক ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘আমি পরিবারের ১২০ জনের বেশি সদস্যকে হারিয়েছি’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৯:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৪৮ বার পঠিত

ছবি: বিবিসি

তুরস্কের এডিনবার্গের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তিনি তার পরিবারের ১২০ জনের বেশি সদস্যকে হারিয়েছেন। খবর বিবিসির

প্রতিবেদনে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তিনি বিবিসি রেডিওর গুড মর্নিং প্রোগ্রামে বলেন, ‘আমি শুধু আমার পরিবারের ১২০ জনের বেশি সদস্যকে হারিয়েছি। আমার খালাতো-মামাতো ভাই বোন, মামী-চাচী, মামা-চাচা, ভাগ্নে-ভাগ্নী…এছাড়া আমার গ্রামের অনেক প্রতিবেশীকেও হারিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, তারা সবাই শহরের কেন্দ্র আদিয়ামানে ছিল। পুরো তুরস্কের অবস্থাই খুব খারাপ। আমি আমার ভাই এবং অন্যদের কাছ থেকে কিছু খবর পেয়েছি। আমরা কেবল ২০ শতাংশ দেখতে পাচ্ছি।

তিনি বলেন, সবাই এখন রাস্তায় বসবাস করছে। যখন কেউ একটু পেট্রোল পাচ্ছে, তখন নিজেদেরকে গরম করতে গাড়িতে অবস্থান নিচ্ছে। তাছাড়া অন্য সময় পেপার বা কাঠ কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে।

তিনি জানান, প্রতিটা দিনই তার আগের দিনের চেয়ে খারাপ যাচ্ছে। যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা কাপড়, খাবার সংগ্রহ করে বেঁচে আছি। আমাদের কারো কাছে কোন টাকা নেই এমনকি থাকার মতো জায়গাও নেই। উল্লেখ্য, তুরস্ক ও সিরিয়ায় গত সোমবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘আমি পরিবারের ১২০ জনের বেশি সদস্যকে হারিয়েছি’

প্রকাশের সময় : ০১:২৯:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

তুরস্কের এডিনবার্গের এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, সোমবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পে তিনি তার পরিবারের ১২০ জনের বেশি সদস্যকে হারিয়েছেন। খবর বিবিসির

প্রতিবেদনে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তিনি বিবিসি রেডিওর গুড মর্নিং প্রোগ্রামে বলেন, ‘আমি শুধু আমার পরিবারের ১২০ জনের বেশি সদস্যকে হারিয়েছি। আমার খালাতো-মামাতো ভাই বোন, মামী-চাচী, মামা-চাচা, ভাগ্নে-ভাগ্নী…এছাড়া আমার গ্রামের অনেক প্রতিবেশীকেও হারিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, তারা সবাই শহরের কেন্দ্র আদিয়ামানে ছিল। পুরো তুরস্কের অবস্থাই খুব খারাপ। আমি আমার ভাই এবং অন্যদের কাছ থেকে কিছু খবর পেয়েছি। আমরা কেবল ২০ শতাংশ দেখতে পাচ্ছি।

তিনি বলেন, সবাই এখন রাস্তায় বসবাস করছে। যখন কেউ একটু পেট্রোল পাচ্ছে, তখন নিজেদেরকে গরম করতে গাড়িতে অবস্থান নিচ্ছে। তাছাড়া অন্য সময় পেপার বা কাঠ কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করছে।

তিনি জানান, প্রতিটা দিনই তার আগের দিনের চেয়ে খারাপ যাচ্ছে। যুদ্ধের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আমরা কাপড়, খাবার সংগ্রহ করে বেঁচে আছি। আমাদের কারো কাছে কোন টাকা নেই এমনকি থাকার মতো জায়গাও নেই। উল্লেখ্য, তুরস্ক ও সিরিয়ায় গত সোমবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে।