নিউইয়র্ক ০৩:৩০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

আকাশসীমা লঙ্ঘন করল কিমের ৫ ড্রোন, দ. কোরিয়ার গুলি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৩৫ বার পঠিত

দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় উত্তর কোরিয়ার ড্রোন নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, উত্তর কোরিয়ার পাঁচটি ড্রোন আজ সোমবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। সীমান্তে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধবিমান মোতায়েন এবং হেলিকপ্টার আক্রমণ করতে প্ররোচিত করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ড্রোনগুলোকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। তবে কোনো ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে কি না সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা লি সেউং-ওহ এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘চারটি ড্রোন গাংঘওয়া দ্বীপের চারপাশে উড়েছে এবং একটি রাজধানী সিউলের উত্তর আকাশসীমার ওপর দিয়ে উড়েছে। এটি স্পষ্ট উসকানি এবং উত্তর কোরিয়ার দ্বারা আমাদের আকাশসীমায় আক্রমণ।

উত্তর কোরিয়ার ড্রোন আকাশসীমা লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী আন্তকোরীয় সীমান্ত অঞ্চলে মনুষ্যবাহী এবং মনুষ্যবিহীন আকাশযান পাঠিয়েছে। কিছু আকাশযান উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল বলেও জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, এই প্রাথমিক নিরীক্ষণ মিশনে উত্তর কোরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোর চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জিম্পোর কাছের আকাশে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী প্রথম উত্তর কোরিয়ার ড্রোনগুলো শনাক্ত করে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে আন্তকোরীয় সীমান্তে দক্ষিণের ভূখণ্ডে উত্তর কোরিয়ার একটি ড্রোন শেষবার শনাক্ত করা হয়েছিল। সেই সময় দক্ষিণ কোরিয়া বলেছিল, উত্তর কোরিয়ার একটি বিধ্বস্ত ড্রোন উদ্ধার করেছে। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করছিল।

উত্তর কোরিয়া চলতি বছর আক্রমণাত্মকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বাড়িয়েছে। প্রায়ই একসঙ্গে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। পৃথক ৩৬ দিন তারা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ২০১২ সালে কিম জং উন ক্ষমতা গ্রহণের পর বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ঘটল চলতি বছর।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের মতে, সর্বশেষ গত শুক্রবার দুটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের সুনান এলাকা থেকে কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আকাশসীমা লঙ্ঘন করল কিমের ৫ ড্রোন, দ. কোরিয়ার গুলি

প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমায় উত্তর কোরিয়ার ড্রোন নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, উত্তর কোরিয়ার পাঁচটি ড্রোন আজ সোমবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। সীমান্তে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধবিমান মোতায়েন এবং হেলিকপ্টার আক্রমণ করতে প্ররোচিত করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ড্রোনগুলোকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। তবে কোনো ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে কি না সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা লি সেউং-ওহ এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘চারটি ড্রোন গাংঘওয়া দ্বীপের চারপাশে উড়েছে এবং একটি রাজধানী সিউলের উত্তর আকাশসীমার ওপর দিয়ে উড়েছে। এটি স্পষ্ট উসকানি এবং উত্তর কোরিয়ার দ্বারা আমাদের আকাশসীমায় আক্রমণ।

উত্তর কোরিয়ার ড্রোন আকাশসীমা লঙ্ঘনের প্রতিক্রিয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী আন্তকোরীয় সীমান্ত অঞ্চলে মনুষ্যবাহী এবং মনুষ্যবিহীন আকাশযান পাঠিয়েছে। কিছু আকাশযান উত্তর কোরিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল বলেও জানিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, এই প্রাথমিক নিরীক্ষণ মিশনে উত্তর কোরিয়ার সামরিক স্থাপনাগুলোর চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর জিম্পোর কাছের আকাশে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী প্রথম উত্তর কোরিয়ার ড্রোনগুলো শনাক্ত করে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে আন্তকোরীয় সীমান্তে দক্ষিণের ভূখণ্ডে উত্তর কোরিয়ার একটি ড্রোন শেষবার শনাক্ত করা হয়েছিল। সেই সময় দক্ষিণ কোরিয়া বলেছিল, উত্তর কোরিয়ার একটি বিধ্বস্ত ড্রোন উদ্ধার করেছে। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করছিল।

উত্তর কোরিয়া চলতি বছর আক্রমণাত্মকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বাড়িয়েছে। প্রায়ই একসঙ্গে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। পৃথক ৩৬ দিন তারা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। ২০১২ সালে কিম জং উন ক্ষমতা গ্রহণের পর বছরে সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা ঘটল চলতি বছর।

দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের মতে, সর্বশেষ গত শুক্রবার দুটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের সুনান এলাকা থেকে কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপানের মধ্যবর্তী জলসীমায় ক্ষেপণাস্ত্রগুলো নিক্ষেপ করা হয়।