জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ বাড়াতে যা করতে হবে
- প্রকাশের সময় : ০৬:০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
- / ৫০ বার পঠিত
রাজস্ব আদায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা বাড়লে কর-জিডিপি অনুপাত দুই–শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়বে বলে মনে করছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এই বাড়তি কর আদায় করা গেলে কর-জিডিপি অনুপাত ১০ দশমিক ৪ শতাংশে উন্নীত হবে।
বুধবার (২৭ মার্চ) বনানীর পিআরআই কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়। সংস্থাটি বলেছে, এই বাড়তি রাজস্ব বিভিন্ন খাতে সরকার বিনিয়োগ করলে তা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি দশমিক ২ শতাংশ বাড়াবে। এই অর্থ আদায় করা গেলে তা জিডিপির দশমিক ৫ শতাংশ বাড়তি রাজস্ব আদায়ের আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে সহায়তা করবে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন পিআরআই চেয়ারম্যান জাইদী সাত্তার, নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর এবং পরিচালক আবদুর রাজ্জাক। পিআরআই পরিচালক বজলুল হক খন্দকার এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
পিআরআই বলেছে, রাজস্ব আদায় বাড়লে সরকার বাড়তি অর্থ খরচ করতে পারবে, যা দারিদ্র্য বিমোচনের গতি বাড়াবে। এতে প্রতি বছর অতিরিক্ত দশমিক ৯ শতাংশ হারে দারিদ্র্য বিমোচন হবে।
বাড়তি রাজস্ব আদায়ে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শ দিয়েছে পিআরআই। একই সঙ্গে দুর্নীতি কমানো, অটোমেশন, করছাড় হ্রাসের কথা বলেছে তারা। এছাড়া ভ্যাট আইনের মূল দর্শন অনুসারে ভ্যাট হার ১৫ শতাংশে রাখার পক্ষে মত দিয়েছে সংস্থাটি।
পিআরআই নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, শুধু করছাড় কমিয়ে আগামী অর্থবছরে বাড়তি ৩০ হাজার কোটি টাকা আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। করছাড় না কমিয়ে কর-জিডিপি অনুপাত ১৫ শতাংশ উন্নীত করা সম্ভব নয়। ব্রিটিশ আমলের ব্যবস্থাপনা দিয়ে তা হবে না। এ জন্য রাজস্ব খাতের মৌলিক সংস্কার লাগবে।
জাইদী সাত্তার বলেন, বাংলাদেশে উচ্চ শুল্ক আরোপের সংস্কৃতি আছে। উচ্চ শুল্ক হার বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করছে। বজলুল হক খন্দকার বলেন, বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত শ্রেণি বাড়ছে। তাই সহজেই কর জাল বৃদ্ধি করা সম্ভব। সূত্র : প্রতিদিনের সংবাদ
হককথা/নাছরিন