নিউইয়র্ক ০২:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সংকটেও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি থামছে না

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৭৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : দেশের মধ্যে তীব্রতর ডলার-সংকট চলছে। এ সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিয়েও কোনো কূলকিনারা পাচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে ডলার বিক্রি বন্ধের কথা জানালেও চলতি অর্থবছরেই রিজার্ভ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫.১৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী তা ১৯.৯৯ বিলিয়ন ডলার। তবে ব্যয়যোগ্য নিট রিজার্ভের পরিমাণ ১৫.৮৭ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মাসে রেমিট্যান্সে গতি ফিরলেও তা আশানুরূপ নয়। চলতি বছরের প্রথম মাসের পুরো সময়ে ২১০ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার। বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার, যা ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি। আর চলতি মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম ৯ দিনে এসেছে ৬৩ কোটি ১৭ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। প্রতিদিন আসছে ৭ কোটি ডলারের বেশি। এভাবে গতি থাকলে চলতি মাসেও দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে রেমিট্যান্স। বৈধ পথে আনার উদ্যোগের ফলে রেমিট্যান্স আসা কিছুটা বাড়ছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত বাড়তি প্রণোদনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করছে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, রিজার্ভ মূলত রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের ওপর নির্ভর করে। রেমিট্যান্স বাড়াতে নীতিমালা সহজ করা হয়েছে। প্রবাসীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রচারণা চলমান করা হয়েছে। হুন্ডি বন্ধে কাজ করছে বিশেষ দল। পাশাপাশি রপ্তানি আয় বাড়াতে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তি ও এডিবি ঋণের টাকা রিজার্ভে সমন্বয় করা হয়েছে। আরও কিছু ঋণ পাইপলাইনে রয়েছে। সামনে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে। সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সংকটেও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি থামছে না

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : দেশের মধ্যে তীব্রতর ডলার-সংকট চলছে। এ সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নিয়েও কোনো কূলকিনারা পাচ্ছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত থেকে প্রতিনিয়ত ডলার বিক্রি অব্যাহত রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে ডলার বিক্রি বন্ধের কথা জানালেও চলতি অর্থবছরেই রিজার্ভ থেকে ৯ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫.১৩ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী তা ১৯.৯৯ বিলিয়ন ডলার। তবে ব্যয়যোগ্য নিট রিজার্ভের পরিমাণ ১৫.৮৭ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত মাসে রেমিট্যান্সে গতি ফিরলেও তা আশানুরূপ নয়। চলতি বছরের প্রথম মাসের পুরো সময়ে ২১০ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার। বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরের পুরো সময়ে আসে ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার, যা ২১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার বেশি। আর চলতি মাস ফেব্রুয়ারির প্রথম ৯ দিনে এসেছে ৬৩ কোটি ১৭ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। প্রতিদিন আসছে ৭ কোটি ডলারের বেশি। এভাবে গতি থাকলে চলতি মাসেও দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে রেমিট্যান্স। বৈধ পথে আনার উদ্যোগের ফলে রেমিট্যান্স আসা কিছুটা বাড়ছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলত বাড়তি প্রণোদনা প্রবাসী বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করছে বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, রিজার্ভ মূলত রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয় এবং বৈদেশিক ঋণ ও অনুদানের ওপর নির্ভর করে। রেমিট্যান্স বাড়াতে নীতিমালা সহজ করা হয়েছে। প্রবাসীদের মধ্যে ইতিবাচক প্রচারণা চলমান করা হয়েছে। হুন্ডি বন্ধে কাজ করছে বিশেষ দল। পাশাপাশি রপ্তানি আয় বাড়াতে মনিটরিং বাড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তি ও এডিবি ঋণের টাকা রিজার্ভে সমন্বয় করা হয়েছে। আরও কিছু ঋণ পাইপলাইনে রয়েছে। সামনে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাবে। সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন