নিউইয়র্ক ০৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

সঞ্চয়কারীদের আগ্রহ কমছে প্রাইজবন্ডে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৮:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৬ বার পঠিত

প্রাইজবন্ড হচ্ছে সরকারি খাতের একটি সঞ্চয়ী উপকরণ। যে কেউ যে কোনো সময় এতে বিনিয়োগ করতে পারেন। আবার যে কোনো সময় ভাঙিয়ে টাকা নগদায়ন করাও যায়। বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও কোনো সীমা নেই। এটি কিনতে কোনো ব্যাংক হিসাব বা ফরম পূরণের শর্তও নেই। এমন একটি সহজ ও সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত সঞ্চয়ী উপকরণের প্রতি সঞ্চয়কারীদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে প্রাইজবন্ডের আধুনিকায়ন না করা, চড়া মূল্যস্ফীতির কারণে টাকায় ক্ষয় বেড়ে যাওয়া ও প্রচার না থাকার কারণেই প্রাইজবন্ডের প্রতি সঞ্চয়কারীদের আগ্রহ কমছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, প্রাইজবন্ডের বিক্রি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। কিন্তু এটি ধরে রাখার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। এটিকে গ্রাহকরা দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী উপকরণ হিসাবে নিচ্ছেন না। যে কারণে কেনার পর এটিকে ধরে না রেখে ভাঙিয়ে টাকা নগদায়ন করে ফেলছেন। ফলে প্রাইজবন্ডে গ্রাহকদের বিনিয়োগের স্থিতি কমে যাচ্ছে।

অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়েছিল ৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বিক্রি বেড়ে ৫২ কোটি ৯০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে বিক্রি বেড়েছে ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ। একই সময়ে প্রাইজবন্ড ভাঙানোর প্রবণতা ১৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২৪ কোটি ৬০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ওই সময়ে ভাঙানোর প্রবণতা বেড়েছে ২৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। একই সময়ে পুরস্কার বাবদ অর্থ নেওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। ওই সময়ে গ্রাহকদের অর্থ উত্তোলনের পরিমাণ ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়েছিল। যার পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা। ওই বছরে ৪২ কোটি টাকার প্রাইজবন্ড ভাঙিয়ে গ্রাহকরা টাকা নগদায়ন করেন। এটিও ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৮৭ কোটি ২০ লাখ টাকার। ওই অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণে ৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার প্রাইজবন্ড ভাঙিয়ে গ্রাহকরা টাকা নগদায়ন করেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৮২ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ভাঙানো হয়েছিল ৪১ কোটি ১০ লাখ টাকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭৯ কোটি ১০ লাখ টাকা, ভাঙানো হয়েছিল ৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৮২ কোটি টাকার, মূল অর্থ তুলে নেওয়া হয় ৪২ কোটি টাকার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭২ কোটি টাকার, অর্থ তুলে নেওয়ার পরিমাণ ছিল ৩৬ কোটি টাকার।

প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রাইজবন্ডের স্থিতি ছিল সর্বোচ্চ। ওই বছরে স্থিতি বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ কোটি টাকায়। পরের দুই অর্থবছরে স্থিতি সামান্য কমেছে। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থিতি কমে দাঁড়ায় ২৮ কোটি টাকায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা আরও কমে স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি টাকায়। অর্থবছরে স্থিতি সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ কোটি টাকায়। এর আগে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতিবছর স্থিতি ছিল ২৫ কোটি টাকা করে।

সূত্র জানায়, প্রাইজবন্ড হচ্ছে সরকারের একটি বিনিয়োগ প্রকল্প। এতে দেশের যে কেউ যে কোনো অঙ্কের অর্থ যে কোনো সময় বিনিয়োগ করতে পারেন। শরিয়া ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংকগুলো ছাড়া বাকি সব ব্যাংকের যে কোনো শাখা, ডাকঘর ও সঞ্চয় ব্যুরো অফিস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিস থেকে এটি কেনা ও ভাঙানো যায়। গ্রাহকরা এর মাধ্যমে সঞ্চয় করতে পারেন এবং বিনিয়োগ করা টাকা সরকার ঋণ হিসাবে গ্রহণ করে। এতে কোনো হিসাব বা কাগজপত্র লাগে না। নগদ টাকা দিয়ে এ বন্ড কেনা যায়। এটি নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে হয়। এতে কোনো সুদ বা মুনাফা দেওয়া হয় না। তবে প্রতি ৩ মাস পরপর বছরে চারবার লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের নগদ টাকা পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হয়।

প্রাইজবন্ডের ৭৮টি সিরিজ রয়েছে। প্রতি সিরিজের জন্য পুরস্কার রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকার একটি, দ্বিতীয় পুরস্কার সোয়া তিন লাখ টাকার একটি, তৃতীয় পুরস্কার ১ লাখ টাকার দুটি, চতুর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকার দুটি, পঞ্চম পুরস্কার ১০ হাজার টাকার ৪০টি। পুরস্কারের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক, যে কোনো তফশিলি ব্যাংকের শাখা, জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরোর শাখা অফিস, ডাকঘর থেকে তোলা যায়। মুনাফা থেকে ২০ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখা হয়।

বিক্রি করা সব প্রাইজবন্ডই লটারিতে আসে না। ড্রর ২ মাস আগে যেগুলো বিক্রি হয়েছে সেগুলো লাটারিতে উঠবে। লটারির ড্রর ২ মাসের কম সময় পর যেসব প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়েছে সেগুলো লটারিতে আসবে না। তবে পরে লটারিতে আসবে।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত তিন ধরনের প্রাইজবন্ড চালু করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি বাতিল করা হয়েছে। চালু আছে শুধু ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড। ১০ ও ৫০ টাকার প্রাইজবন্ড বাতিল করা হয়েছে। ১৯৯৫ সালের ২ জুলাই থেকে এটি চালু করা হয়। এরপর থেকে এর সিরিজ সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু প্রাইজবন্ডের টাকার মান বাড়ানো হয়নি। চড়া মূল্যস্ফীতির কারণে এখন ১০০ টাকার মান অনেক কমে গেছে। যে কারণে ১০০ টাকার প্রাইজবন্ডের প্রতিও আগ্রহ কম। অনেকেই মনে করেন, এখন আরও বেশি মানের প্রাইজবন্ড চালু করা উচিত। প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠান ও এর ফলাফল যথেষ্ট প্রচার হয় না। যে কারণে অনেক গ্রাহকই জানেন না কখন ড্র হচ্ছে, এর ফলাফল কোথায় পাবে। এ কারণে অনেক প্রাইজবন্ড পুরস্কার পেলেও সেগুলো সঞ্চয়কারীরা নিতে পারছেন না।

প্রাইজবন্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে বিপদ। যেহেতু বাহকই এর প্রকৃত মালিক। যে কারণে যার হাতে থাকবে তিনিই এর মালিক। ফলে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে বিনিময় মূল্য পাওয়া যাবে না।প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অনেক দেশেই সঞ্চয়ী উপকরণ হিসাবে প্রাইজবন্ড রয়েছে। সেগুলো বিভিন্ন মানের ও পরিমাণেও বেশি। সেগুলোতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে অনেক প্রচারণাও চালানো হয়। সূত্র : যুগান্তর।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

সঞ্চয়কারীদের আগ্রহ কমছে প্রাইজবন্ডে

প্রকাশের সময় : ০৩:২৮:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

প্রাইজবন্ড হচ্ছে সরকারি খাতের একটি সঞ্চয়ী উপকরণ। যে কেউ যে কোনো সময় এতে বিনিয়োগ করতে পারেন। আবার যে কোনো সময় ভাঙিয়ে টাকা নগদায়ন করাও যায়। বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও কোনো সীমা নেই। এটি কিনতে কোনো ব্যাংক হিসাব বা ফরম পূরণের শর্তও নেই। এমন একটি সহজ ও সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত সঞ্চয়ী উপকরণের প্রতি সঞ্চয়কারীদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। সময়ের সঙ্গে প্রাইজবন্ডের আধুনিকায়ন না করা, চড়া মূল্যস্ফীতির কারণে টাকায় ক্ষয় বেড়ে যাওয়া ও প্রচার না থাকার কারণেই প্রাইজবন্ডের প্রতি সঞ্চয়কারীদের আগ্রহ কমছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, প্রাইজবন্ডের বিক্রি ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। কিন্তু এটি ধরে রাখার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। এটিকে গ্রাহকরা দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী উপকরণ হিসাবে নিচ্ছেন না। যে কারণে কেনার পর এটিকে ধরে না রেখে ভাঙিয়ে টাকা নগদায়ন করে ফেলছেন। ফলে প্রাইজবন্ডে গ্রাহকদের বিনিয়োগের স্থিতি কমে যাচ্ছে।

অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়েছিল ৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বিক্রি বেড়ে ৫২ কোটি ৯০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে বিক্রি বেড়েছে ২১ দশমিক ০৫ শতাংশ। একই সময়ে প্রাইজবন্ড ভাঙানোর প্রবণতা ১৯ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২৪ কোটি ৬০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ওই সময়ে ভাঙানোর প্রবণতা বেড়েছে ২৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ। একই সময়ে পুরস্কার বাবদ অর্থ নেওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। ওই সময়ে গ্রাহকদের অর্থ উত্তোলনের পরিমাণ ১২ কোটি ৭০ লাখ টাকা থেকে বেড়ে ৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণ প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়েছিল। যার পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা। ওই বছরে ৪২ কোটি টাকার প্রাইজবন্ড ভাঙিয়ে গ্রাহকরা টাকা নগদায়ন করেন। এটিও ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

২০২১-২২ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৮৭ কোটি ২০ লাখ টাকার। ওই অর্থবছরে রেকর্ড পরিমাণে ৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার প্রাইজবন্ড ভাঙিয়ে গ্রাহকরা টাকা নগদায়ন করেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৮২ কোটি ৯০ লাখ টাকা, ভাঙানো হয়েছিল ৪১ কোটি ১০ লাখ টাকার। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭৯ কোটি ১০ লাখ টাকা, ভাঙানো হয়েছিল ৩৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৮২ কোটি টাকার, মূল অর্থ তুলে নেওয়া হয় ৪২ কোটি টাকার। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিক্রি হয়েছিল ৭২ কোটি টাকার, অর্থ তুলে নেওয়ার পরিমাণ ছিল ৩৬ কোটি টাকার।

প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রাইজবন্ডের স্থিতি ছিল সর্বোচ্চ। ওই বছরে স্থিতি বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ কোটি টাকায়। পরের দুই অর্থবছরে স্থিতি সামান্য কমেছে। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থিতি কমে দাঁড়ায় ২৮ কোটি টাকায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে তা আরও কমে স্থিতি দাঁড়িয়েছে ২৫ কোটি টাকায়। অর্থবছরে স্থিতি সামান্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ কোটি টাকায়। এর আগে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রতিবছর স্থিতি ছিল ২৫ কোটি টাকা করে।

সূত্র জানায়, প্রাইজবন্ড হচ্ছে সরকারের একটি বিনিয়োগ প্রকল্প। এতে দেশের যে কেউ যে কোনো অঙ্কের অর্থ যে কোনো সময় বিনিয়োগ করতে পারেন। শরিয়া ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংকগুলো ছাড়া বাকি সব ব্যাংকের যে কোনো শাখা, ডাকঘর ও সঞ্চয় ব্যুরো অফিস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সব শাখা অফিস থেকে এটি কেনা ও ভাঙানো যায়। গ্রাহকরা এর মাধ্যমে সঞ্চয় করতে পারেন এবং বিনিয়োগ করা টাকা সরকার ঋণ হিসাবে গ্রহণ করে। এতে কোনো হিসাব বা কাগজপত্র লাগে না। নগদ টাকা দিয়ে এ বন্ড কেনা যায়। এটি নিজের কাছে সংরক্ষণ করতে হয়। এতে কোনো সুদ বা মুনাফা দেওয়া হয় না। তবে প্রতি ৩ মাস পরপর বছরে চারবার লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের নগদ টাকা পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হয়।

প্রাইজবন্ডের ৭৮টি সিরিজ রয়েছে। প্রতি সিরিজের জন্য পুরস্কার রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকার একটি, দ্বিতীয় পুরস্কার সোয়া তিন লাখ টাকার একটি, তৃতীয় পুরস্কার ১ লাখ টাকার দুটি, চতুর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকার দুটি, পঞ্চম পুরস্কার ১০ হাজার টাকার ৪০টি। পুরস্কারের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক, যে কোনো তফশিলি ব্যাংকের শাখা, জাতীয় সঞ্চয় ব্যুরোর শাখা অফিস, ডাকঘর থেকে তোলা যায়। মুনাফা থেকে ২০ শতাংশ উৎসে কর কেটে রাখা হয়।

বিক্রি করা সব প্রাইজবন্ডই লটারিতে আসে না। ড্রর ২ মাস আগে যেগুলো বিক্রি হয়েছে সেগুলো লাটারিতে উঠবে। লটারির ড্রর ২ মাসের কম সময় পর যেসব প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়েছে সেগুলো লটারিতে আসবে না। তবে পরে লটারিতে আসবে।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত তিন ধরনের প্রাইজবন্ড চালু করা হয়েছিল। এর মধ্যে দুটি বাতিল করা হয়েছে। চালু আছে শুধু ১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ড। ১০ ও ৫০ টাকার প্রাইজবন্ড বাতিল করা হয়েছে। ১৯৯৫ সালের ২ জুলাই থেকে এটি চালু করা হয়। এরপর থেকে এর সিরিজ সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু প্রাইজবন্ডের টাকার মান বাড়ানো হয়নি। চড়া মূল্যস্ফীতির কারণে এখন ১০০ টাকার মান অনেক কমে গেছে। যে কারণে ১০০ টাকার প্রাইজবন্ডের প্রতিও আগ্রহ কম। অনেকেই মনে করেন, এখন আরও বেশি মানের প্রাইজবন্ড চালু করা উচিত। প্রাইজবন্ডের ড্র অনুষ্ঠান ও এর ফলাফল যথেষ্ট প্রচার হয় না। যে কারণে অনেক গ্রাহকই জানেন না কখন ড্র হচ্ছে, এর ফলাফল কোথায় পাবে। এ কারণে অনেক প্রাইজবন্ড পুরস্কার পেলেও সেগুলো সঞ্চয়কারীরা নিতে পারছেন না।

প্রাইজবন্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে বিপদ। যেহেতু বাহকই এর প্রকৃত মালিক। যে কারণে যার হাতে থাকবে তিনিই এর মালিক। ফলে হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে বিনিময় মূল্য পাওয়া যাবে না।প্রতিবেশী দেশ ভারতসহ অনেক দেশেই সঞ্চয়ী উপকরণ হিসাবে প্রাইজবন্ড রয়েছে। সেগুলো বিভিন্ন মানের ও পরিমাণেও বেশি। সেগুলোতে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে অনেক প্রচারণাও চালানো হয়। সূত্র : যুগান্তর।