নিউইয়র্ক ০৬:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গণমাধ্যমের আচরণে ক্ষুব্ধ মিলি ববি ব্রাউন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:১২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • / ৬৪ বার পঠিত

মিলি ববি ব্রাউন বেশ চাপে আছেন। এর পেছনে কাজ করেছে গণমাধ্যমের প্রভাব। গণমাধ্যম তাকে নিয়ে যে ধরনের কথা বলছে, তা পছন্দ করছেন না তিনি। এর আগে তার পারিশ্রমিক নিয়ে নানা আলাপ উঠেছিল। এবার বলা হচ্ছে তার শারীরিক গড়ন নিয়ে। বিষয়গুলোকে মিলি দেখছেন ‘বুলিং’ হিসেবে। এগুলো তার মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করছে বলেও তিনি মনে করেন। এছাড়া মিলি জানান, তার শরীরকে তিনি কেমন করে উপস্থাপন করবেন, তা একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়। মিলি ববি ব্রাউন এসব নিয়ে একটা ভিডিও পোস্ট করেছেন তার ইনস্টাগ্রামে। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি মাত্র ১০ বছর বয়সে এ ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করি। এ জগতেই (অভিনয়জগৎ) আমার বেড়ে ওঠা। কিন্তু আমার মনে হয়, আশপাশের মানুষ নিজেরা পরিণত হতে পারেননি। তাদের মনে হয় আমার সে ১০ বছরের শিশুই থাকা উচিত ছিল। ইচ্ছা করলেও তো ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস সিজন ওয়ান’-এর মতো থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’

মিলি আরো মনে করেন, কিছু মানুষ তরুণীদের নানাভাবে হেয় করতে পছন্দ করে। এরা একেক সময় একেক জনকে লক্ষ্যবস্তু বানায়। মিলির এ কথা বলারও কারণ আছে। সম্প্রতি একাধিক গণমাধ্যম তাকে নিয়ে লিখেছে, ‘জেন-জির মিলি ববি ব্রাউনরা কেন দ্রুতই বুড়িয়ে যাচ্ছেন?’ বা ‘মিলি ববি ব্রাউন তার চেহারার কী দশা করেছেন!’ সম্প্রতি তিনি তার নতুন সিনেমা ‘দ্য ইলেকট্রিক স্টেট’ নিয়ে কয়েকবার লাল গালিচায় হেঁটেছেন। সেসব জায়গায় তার উপস্থিতি নিয়েই এ ধরনের কথা লেখা হয়েছে। মিলি এ নিয়ে বলেন, ‘এটা তো সাংবাদিকতা নয়। এটা হেয় করা। একজন পরিণত সাংবাদিক বা লেখক এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। তারা কেন আমার চেহারা নিয়ে সময় নষ্ট করবেন। নাকি তারা তরুণ অভিনেত্রীদের চেহারা নিয়েই পড়ে থাকেন?’

মিলি মনে করেন, চারপাশে অনেকেই পরস্পরের পাশে থাকার কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে তারা থাকেন না। বিশেষত নারীদের প্রতিই তারা খড়্গহস্ত হন। মিলি নিজের বড় হওয়া নিয়ে চিন্তিত নন। সময়ের সঙ্গে মানুষ বেড়ে উঠবে, তার পরিবর্তন হবে, এটাই তিনি স্বাভাবিক মনে করেন। কিন্তু তা নিয়ে লোকে কথা বলতে এলে তিনি প্রতিবাদও করবেন। এ নিয়ে মিলি বলেন, ‘আমরা এমন একটা সমাজ তৈরি করেছি, যেখানে সমালোচনা করা খুব সহজ। প্রশংসা করার চেয়ে বদনাম করা সহজ।’ সূত্র: ভ্যারাইটি

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গণমাধ্যমের আচরণে ক্ষুব্ধ মিলি ববি ব্রাউন

প্রকাশের সময় : ০৩:১২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

মিলি ববি ব্রাউন বেশ চাপে আছেন। এর পেছনে কাজ করেছে গণমাধ্যমের প্রভাব। গণমাধ্যম তাকে নিয়ে যে ধরনের কথা বলছে, তা পছন্দ করছেন না তিনি। এর আগে তার পারিশ্রমিক নিয়ে নানা আলাপ উঠেছিল। এবার বলা হচ্ছে তার শারীরিক গড়ন নিয়ে। বিষয়গুলোকে মিলি দেখছেন ‘বুলিং’ হিসেবে। এগুলো তার মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করছে বলেও তিনি মনে করেন। এছাড়া মিলি জানান, তার শরীরকে তিনি কেমন করে উপস্থাপন করবেন, তা একান্তই তার ব্যক্তিগত বিষয়। মিলি ববি ব্রাউন এসব নিয়ে একটা ভিডিও পোস্ট করেছেন তার ইনস্টাগ্রামে। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমি মাত্র ১০ বছর বয়সে এ ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরু করি। এ জগতেই (অভিনয়জগৎ) আমার বেড়ে ওঠা। কিন্তু আমার মনে হয়, আশপাশের মানুষ নিজেরা পরিণত হতে পারেননি। তাদের মনে হয় আমার সে ১০ বছরের শিশুই থাকা উচিত ছিল। ইচ্ছা করলেও তো ‘স্ট্রেঞ্জার থিংস সিজন ওয়ান’-এর মতো থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’

মিলি আরো মনে করেন, কিছু মানুষ তরুণীদের নানাভাবে হেয় করতে পছন্দ করে। এরা একেক সময় একেক জনকে লক্ষ্যবস্তু বানায়। মিলির এ কথা বলারও কারণ আছে। সম্প্রতি একাধিক গণমাধ্যম তাকে নিয়ে লিখেছে, ‘জেন-জির মিলি ববি ব্রাউনরা কেন দ্রুতই বুড়িয়ে যাচ্ছেন?’ বা ‘মিলি ববি ব্রাউন তার চেহারার কী দশা করেছেন!’ সম্প্রতি তিনি তার নতুন সিনেমা ‘দ্য ইলেকট্রিক স্টেট’ নিয়ে কয়েকবার লাল গালিচায় হেঁটেছেন। সেসব জায়গায় তার উপস্থিতি নিয়েই এ ধরনের কথা লেখা হয়েছে। মিলি এ নিয়ে বলেন, ‘এটা তো সাংবাদিকতা নয়। এটা হেয় করা। একজন পরিণত সাংবাদিক বা লেখক এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। তারা কেন আমার চেহারা নিয়ে সময় নষ্ট করবেন। নাকি তারা তরুণ অভিনেত্রীদের চেহারা নিয়েই পড়ে থাকেন?’

মিলি মনে করেন, চারপাশে অনেকেই পরস্পরের পাশে থাকার কথা বলেন। কিন্তু বাস্তবে তারা থাকেন না। বিশেষত নারীদের প্রতিই তারা খড়্গহস্ত হন। মিলি নিজের বড় হওয়া নিয়ে চিন্তিত নন। সময়ের সঙ্গে মানুষ বেড়ে উঠবে, তার পরিবর্তন হবে, এটাই তিনি স্বাভাবিক মনে করেন। কিন্তু তা নিয়ে লোকে কথা বলতে এলে তিনি প্রতিবাদও করবেন। এ নিয়ে মিলি বলেন, ‘আমরা এমন একটা সমাজ তৈরি করেছি, যেখানে সমালোচনা করা খুব সহজ। প্রশংসা করার চেয়ে বদনাম করা সহজ।’ সূত্র: ভ্যারাইটি