নিউইয়র্ক ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

৫ বছরে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৩০ হাজার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ৬০ বার পঠিত

ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে। প্রতীকী ছবি

হককথা ডেস্ক : বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি গ্রাহক ১ লাখ ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০১৯ সালে যা ছিল প্রায় ৮৪ হাজার। অর্থাৎ গত ৫ বছরে এ সংখ্যা বেড়েছে অন্তত ৩০ হাজার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, পুরো ব্যাংক খাতে রয়েছে ১৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোটিপতিদেরই হচ্ছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ১৩১ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশে কোটিপতি ছিল ৮৩ হাজার ৮৩৯ জন। ২০২০ সালে গিয়ে দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০ জনে। ২০২১ সালে বেড়ে হয় ১ লাখ ১ হাজার ৯৭৬ জন। ২০২২ সালে বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছায় ১ লাখ ৯ হাজার ৯৪৬ জনে। আর ২০২৩ সালে এসে হয় ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫ জন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ উপাত্তে দেখা গেছে, ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর হিসাব ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৪টি। যেগুলোতে জমা আছে ১৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫টি হিসাবে রয়েছে ১ কোটি টাকার বেশি। এসবে জমা আছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। এর মানে ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের ৪৮ দশমিক ৩৮ শতাংশই কোটিপতিদের।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে ব্যাংকে কোটিপতি হিসাব ছিল ৫টি। ১৯৭৫ সালে দাঁড়ায় ৪৭টিতে। এরপর তা চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৮ সালে ১৯ হাজার ১৬৩টিতে উন্নীত হয়। ২০০৯ সালের পর থেকে গত ১৫ বছরের ব্যবধানে কোটিপতি বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫টি। সেই হিসাবে এ সংখ্যা বেড়েছে ৯৪ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোতে ১ থেকে ৫ কোটি টাকার হিসাব দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৭৬০টি। যেগুলোতে সঞ্চিত আছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। ৫ থেকে ১০ কোটির ১২ হাজার ২২১টি হিসাবে জমা আছে ৮৬ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।

এছাড়া ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার ৪ হাজার ৭৪টি, ১৫ থেকে ২০ কোটির ১ হাজার ৯৬৮টি, ২০ থেকে ২৫ কোটির ১ হাজার ২৭৪টি এবং ২৫ থেকে ৩০ কোটির ৯১৯টি হিসাব রয়েছে। তাছাড়া ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকার ৫১২টি, ৩৫ থেকে ৪০ কোটির ৩৪৩টি, ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার ৭৪৭টি এবং ৫০ কোটি টাকার বেশি হিসাবের সংখ্যা ১ হাজার ৭৭৮টি।

২০১৮ সালে সম্পদশালী বৃদ্ধির হার এবং ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রক্ষেপণ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিকদের সংখ্যা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি হারে বাড়ছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে এদেশে অতিধনীর সংখ্যা বেড়েছে গড়ে ১৭ শতাংশ হারে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারতসহ মোট ৭৫টি বড় অর্থনীতির চেয়ে যা বেশি। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

৫ বছরে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ৩০ হাজার

প্রকাশের সময় : ০৮:১৩:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : বর্তমানে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটিপতি গ্রাহক ১ লাখ ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। ২০১৯ সালে যা ছিল প্রায় ৮৪ হাজার। অর্থাৎ গত ৫ বছরে এ সংখ্যা বেড়েছে অন্তত ৩০ হাজার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে বলা হয়, পুরো ব্যাংক খাতে রয়েছে ১৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে কোটিপতিদেরই হচ্ছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ১৩১ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশে কোটিপতি ছিল ৮৩ হাজার ৮৩৯ জন। ২০২০ সালে গিয়ে দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০ জনে। ২০২১ সালে বেড়ে হয় ১ লাখ ১ হাজার ৯৭৬ জন। ২০২২ সালে বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছায় ১ লাখ ৯ হাজার ৯৪৬ জনে। আর ২০২৩ সালে এসে হয় ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫ জন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ উপাত্তে দেখা গেছে, ব্যাংক খাতে মোট আমানতকারীর হিসাব ১৪ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজার ৬৮৪টি। যেগুলোতে জমা আছে ১৭ লাখ ১৩ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫টি হিসাবে রয়েছে ১ কোটি টাকার বেশি। এসবে জমা আছে ৭ লাখ ২৭ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। এর মানে ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের ৪৮ দশমিক ৩৮ শতাংশই কোটিপতিদের।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে ব্যাংকে কোটিপতি হিসাব ছিল ৫টি। ১৯৭৫ সালে দাঁড়ায় ৪৭টিতে। এরপর তা চক্রবৃদ্ধি হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০৮ সালে ১৯ হাজার ১৬৩টিতে উন্নীত হয়। ২০০৯ সালের পর থেকে গত ১৫ বছরের ব্যবধানে কোটিপতি বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫টি। সেই হিসাবে এ সংখ্যা বেড়েছে ৯৪ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের ব্যাংকগুলোতে ১ থেকে ৫ কোটি টাকার হিসাব দাঁড়িয়েছে ৮৯ হাজার ৭৬০টি। যেগুলোতে সঞ্চিত আছে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। ৫ থেকে ১০ কোটির ১২ হাজার ২২১টি হিসাবে জমা আছে ৮৬ হাজার ৩১২ কোটি টাকা।

এছাড়া ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকার ৪ হাজার ৭৪টি, ১৫ থেকে ২০ কোটির ১ হাজার ৯৬৮টি, ২০ থেকে ২৫ কোটির ১ হাজার ২৭৪টি এবং ২৫ থেকে ৩০ কোটির ৯১৯টি হিসাব রয়েছে। তাছাড়া ৩০ থেকে ৩৫ কোটি টাকার ৫১২টি, ৩৫ থেকে ৪০ কোটির ৩৪৩টি, ৪০ থেকে ৫০ কোটি টাকার ৭৪৭টি এবং ৫০ কোটি টাকার বেশি হিসাবের সংখ্যা ১ হাজার ৭৭৮টি।

২০১৮ সালে সম্পদশালী বৃদ্ধির হার এবং ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রক্ষেপণ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিকদের সংখ্যা বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি হারে বাড়ছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৫ বছরে এদেশে অতিধনীর সংখ্যা বেড়েছে গড়ে ১৭ শতাংশ হারে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, ভারতসহ মোট ৭৫টি বড় অর্থনীতির চেয়ে যা বেশি। সূত্র : সাম্প্রতিক দেশকাল

হককথা/নাছরিন