নিউইয়র্ক ০৬:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

মানি লন্ডারিংয়ের ৮০ শতাংশ হয় ব্যাংকের মাধ্যমে : বিএফআইইউ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১১১ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক : দেশের আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) ও সন্দেহজনক কার্যক্রম ব্যাপকহারে বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৮০৯টি সন্দেহজনক লেনদেনের রিপোর্ট জমা দিয়েছে ব্যাংকগুলো। তার আগের অর্থবছরে ৭ হাজার ৯৯৯টি রিপোর্ট জমা দিয়েছিলো ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলোর সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে চার হাজার ৮১০টি। মানি লন্ডারিংয়ের ৮০ শতাংশ ব্যাংকের মাধ্যমে হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস। অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের কেন্দ্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন বা এসটিআর জমা হয়েছে। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল আট হাজার ৫৭১টি।

২০১৯-২০ অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২৮০টি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সব সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) অপরাধ নয়। লেনদেন সন্দেহজনক হলে তদন্ত করি। এরপর যদি কোনো অপরাধের তথ্য প্রমাণ মেলে, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই।

বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের ৮০ শতাংশ হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংক যদি এটি বন্ধে সহযোগিতা না করে তাহলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। কারণ, একবার মানি লন্ডারিং হয়ে গেলে তা ফেরত আনা যায় না। এছাড়া পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা ও সহযোগিতার জন্য ১০ দেশের সঙ্গে এমওইউ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

বিএফআইইউর প্রধান বলেন, বিএফআইইউর তথ্যের ভিত্তিতে অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে ৫৯টি। এর মধ্যে দুদক মামলা করেছে ৪৭টি, সিআইডি ১০টি এবং এনবিআরের বিশেষ সেল ২টি। এগুলো এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।

টাকা পাচার হয়ে গেলে তা ফেরত আনা কঠিন। কারণ এর সঙ্গে অনেক পক্ষ যুক্ত থাকে। এ সময় সিঙ্গাপুর থেকে একসময় আরাফাত রহমান কোকোর ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার ফেরত আনা হয়েছিলো বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।

বিএফআইইউ প্রধান বলেন, দেশ থেকে একবার টাকা পাচার হয়ে গেলে তা ফেরত আনা খুব কঠিন। ফেরত আনতে অনেকগুলো পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এছাড়া সব দেশের আইন-কানুন এক রকম না। তারপরেও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন বিএফআইইউ প্রধান। ভোজ্যতেল ও ভোগ্যপণ্য ব্যবসা থেকে জ্বালানি খাতে নাম লেখানো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ নিয়ে গত বছর জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়। শেষ পর্যন্ত তা উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অনুষ্ঠানে ওই অভিযোগ নিয়ে এ সংস্থার সর্বশেষ পদক্ষেপ জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে মাসুদ বিশ্বাস বলেন, সর্বশেষ আদালত থেকে যে রায় এসেছে, সে অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা সে কাজগুলো করছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নথির বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বৈধ উপায়ে সিঙ্গাপুরে ১ লাখ ৭ হাজার ডলার পাঠিয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানও এস আলমের মালিকানাধীন নয়। আদালতের আদেশের আলোকেই বিএফআইইউ এস আলমের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মাসুদ বিশ্বাস।

সাবেক এক মন্ত্রীর বিদেশে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদের উৎস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করেন আরেক সাংবাদিক। এর উত্তরে মাসুদ বিশ্বাস বলেন, বড় দুটি ঘটনার এটি একটি। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও আমরা যোগাযোগ করছি। আমাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তবে অর্থ একবার পাচার হয়ে গেলে তা ফেরানো যে কঠিন, সেই বাস্তবতা তুলে ধরে বিএফআইইউ প্রধান বলেন, আমরা নতুন দশটি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করার উদ্যোগ নিয়েছি। অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা চলমান রয়েছে। আমরা অর্থপাচার বন্ধে বেশি জোর দিচ্ছি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত ২৬ ডিসেম্বর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে, বিদেশে এক মন্ত্রীর দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। ওই সম্পদের তথ্য ওই মন্ত্রী তার নির্বাচনী হলফনামায় দেননি। সংবাদ সম্মেলনে ওই মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেনি টিআইবি। পরে সংবাদ মাধ্যমে নাম প্রকাশ করে বলা হয়, তিনি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বৃটেনে তার ও স্ত্রীর নামে ওই পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএফআইইউর নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম, বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগের পরিচালক সারোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসাইন উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : মানবজমিন

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

মানি লন্ডারিংয়ের ৮০ শতাংশ হয় ব্যাংকের মাধ্যমে : বিএফআইইউ

প্রকাশের সময় : ০৮:১৪:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : দেশের আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) ও সন্দেহজনক কার্যক্রম ব্যাপকহারে বেড়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৮০৯টি সন্দেহজনক লেনদেনের রিপোর্ট জমা দিয়েছে ব্যাংকগুলো। তার আগের অর্থবছরে ৭ হাজার ৯৯৯টি রিপোর্ট জমা দিয়েছিলো ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ এই সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলোর সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে চার হাজার ৮১০টি। মানি লন্ডারিংয়ের ৮০ শতাংশ ব্যাংকের মাধ্যমে হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস। অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের কেন্দ্রীয় সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদনের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট ১৪ হাজার ১০৬টি সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন বা এসটিআর জমা হয়েছে। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা ৬৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে এমন লেনদেন ও কার্যক্রম হয়েছিল আট হাজার ৫৭১টি।

২০১৯-২০ অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ২৮০টি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সব সন্দেহজনক লেনদেন (এসটিআর) অপরাধ নয়। লেনদেন সন্দেহজনক হলে তদন্ত করি। এরপর যদি কোনো অপরাধের তথ্য প্রমাণ মেলে, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই।

বিএফআইইউর প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, মানি লন্ডারিংয়ের ৮০ শতাংশ হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংক যদি এটি বন্ধে সহযোগিতা না করে তাহলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। কারণ, একবার মানি লন্ডারিং হয়ে গেলে তা ফেরত আনা যায় না। এছাড়া পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা ও সহযোগিতার জন্য ১০ দেশের সঙ্গে এমওইউ করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।

বিএফআইইউর প্রধান বলেন, বিএফআইইউর তথ্যের ভিত্তিতে অর্থ পাচারের মামলা হয়েছে ৫৯টি। এর মধ্যে দুদক মামলা করেছে ৪৭টি, সিআইডি ১০টি এবং এনবিআরের বিশেষ সেল ২টি। এগুলো এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।

টাকা পাচার হয়ে গেলে তা ফেরত আনা কঠিন। কারণ এর সঙ্গে অনেক পক্ষ যুক্ত থাকে। এ সময় সিঙ্গাপুর থেকে একসময় আরাফাত রহমান কোকোর ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার ফেরত আনা হয়েছিলো বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস।

বিএফআইইউ প্রধান বলেন, দেশ থেকে একবার টাকা পাচার হয়ে গেলে তা ফেরত আনা খুব কঠিন। ফেরত আনতে অনেকগুলো পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে হয়। এছাড়া সব দেশের আইন-কানুন এক রকম না। তারপরেও আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের বিষয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনুসন্ধান চলছে বলে জানিয়েছেন বিএফআইইউ প্রধান। ভোজ্যতেল ও ভোগ্যপণ্য ব্যবসা থেকে জ্বালানি খাতে নাম লেখানো ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের অভিযোগ নিয়ে গত বছর জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়। শেষ পর্যন্ত তা উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। অনুষ্ঠানে ওই অভিযোগ নিয়ে এ সংস্থার সর্বশেষ পদক্ষেপ জানতে চান সাংবাদিকরা। উত্তরে মাসুদ বিশ্বাস বলেন, সর্বশেষ আদালত থেকে যে রায় এসেছে, সে অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা সে কাজগুলো করছি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নথির বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশ থেকে ৪০ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার বিদেশে বিনিয়োগের জন্য নেয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বৈধ উপায়ে সিঙ্গাপুরে ১ লাখ ৭ হাজার ডলার পাঠিয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠানও এস আলমের মালিকানাধীন নয়। আদালতের আদেশের আলোকেই বিএফআইইউ এস আলমের বিষয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মাসুদ বিশ্বাস।

সাবেক এক মন্ত্রীর বিদেশে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদের উৎস নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করেন আরেক সাংবাদিক। এর উত্তরে মাসুদ বিশ্বাস বলেন, বড় দুটি ঘটনার এটি একটি। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমেও আমরা যোগাযোগ করছি। আমাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তবে অর্থ একবার পাচার হয়ে গেলে তা ফেরানো যে কঠিন, সেই বাস্তবতা তুলে ধরে বিএফআইইউ প্রধান বলেন, আমরা নতুন দশটি রাষ্ট্রের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) করার উদ্যোগ নিয়েছি। অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা চলমান রয়েছে। আমরা অর্থপাচার বন্ধে বেশি জোর দিচ্ছি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত ২৬ ডিসেম্বর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে, বিদেশে এক মন্ত্রীর দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। ওই সম্পদের তথ্য ওই মন্ত্রী তার নির্বাচনী হলফনামায় দেননি। সংবাদ সম্মেলনে ওই মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেনি টিআইবি। পরে সংবাদ মাধ্যমে নাম প্রকাশ করে বলা হয়, তিনি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। বৃটেনে তার ও স্ত্রীর নামে ওই পরিমাণ সম্পদ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএফআইইউর নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম, বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগের পরিচালক সারোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পরিচালক কামাল হোসাইন উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : মানবজমিন

হককথা/নাছরিন