নিউইয়র্ক ০৩:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

তারল্যসংকটে ধার করে চলছে ৪০ ব্যাংক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৭৪ বার পঠিত

ফাইল ছবি

হককথা ডেস্ক : ব্যাংক খাতে তারল্যসংকট দিনদিন বেড়েই চলছে। এতে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারও অস্থিরতার দিকে ধাবিত হচ্ছে, যা তারল্যসংকটকে আরও উসকে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোর পক্ষে নগদ অর্থের বাড়তি চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নগদ টাকার অতিরিক্ত চাপ সামলাতে আন্তব্যাংক স্বল্পকালীন ধার (কলমানি মার্কেট) করতে বাধ্য হচ্ছে অধিকাংশ ব্যাংক। সে ক্ষেত্রে কলমানি রেটকে তোয়াক্কা না করে সুদের হার বেড়েই চলছে। গতকাল সোমবার কলমানিতে সুদের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ওই দিন কলমানিতে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, নগদ টাকার সংকটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও সম্প্রতি টাকা ধার নেওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। মূলত খেলাপি আদায়ে ভাটা, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে বাজার থেকে টাকা উত্তোলন, বাণিজ্যিক ব্যাংকনির্ভর সরকারের ঋণ তারল্যসংকটকে তীব্র করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে সংকট সামাল দিতে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের কাছে ধারের জন্য ছুটছে। অন্তত ৪০টি ব্যাংক এভাবে ধার করে নগদ টাকার জন্য কলমানি থেকে ধার করে চলছে। টাকার সংকট কাটাতে উচ্চ সুদেও আমানত সংগ্রহ করছে অনেক ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধিকে অন্যতম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) শুরু থেকেই সুদের হারে সর্বোচ্চ সীমা তুলে দিয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব কলমানি মার্কেটেও পড়েছে। গতকাল কলমানিতে লেনদেনের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। যদিও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কলমানির সুদের হার ছিল ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। সেই হিসাবে দুই বছরে কলমানির গড় সুদহার সাড়ে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। এভাবে চড়া সুদে ধার বিনিয়োগ ও উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যা কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এমন ইঙ্গিত অর্থনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্টদের।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ব্যাংক খাতে টাকার বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। কয়েকটি ব্যাংকে তারল্যসংকট রয়েছে। এসব কারণে কলমানিতে ধার নিয়ে নগদ টাকার চাহিদা মেটাচ্ছে অধিকাংশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে সুদের হার খানিকটা বেশি হলেও সেদিকে গুরুত্ব কম বলা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল কলমানির (এভার নাইট) সুদ ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে হার ছিল ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। তার আগের বছরে (২০২২) জানুয়ারিতে কলমানির গড় সুদের হার ছিল ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। তবে বিদায়ী বছরের শেষ কর্মদিবসে সুদের হার ছিল ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘অর্থ পাচার, ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে। তারল্যসংকটের মোকাবিলা করতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নিচ্ছে। এটা ছাড়া কোনো উপায় নেই। সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

তারল্যসংকটে ধার করে চলছে ৪০ ব্যাংক

প্রকাশের সময় : ০৯:০৭:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৪

হককথা ডেস্ক : ব্যাংক খাতে তারল্যসংকট দিনদিন বেড়েই চলছে। এতে আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজারও অস্থিরতার দিকে ধাবিত হচ্ছে, যা তারল্যসংকটকে আরও উসকে দিয়েছে। ব্যাংকগুলোর পক্ষে নগদ অর্থের বাড়তি চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নগদ টাকার অতিরিক্ত চাপ সামলাতে আন্তব্যাংক স্বল্পকালীন ধার (কলমানি মার্কেট) করতে বাধ্য হচ্ছে অধিকাংশ ব্যাংক। সে ক্ষেত্রে কলমানি রেটকে তোয়াক্কা না করে সুদের হার বেড়েই চলছে। গতকাল সোমবার কলমানিতে সুদের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ওই দিন কলমানিতে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, নগদ টাকার সংকটে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেও সম্প্রতি টাকা ধার নেওয়া বাড়িয়ে দিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। মূলত খেলাপি আদায়ে ভাটা, রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে বাজার থেকে টাকা উত্তোলন, বাণিজ্যিক ব্যাংকনির্ভর সরকারের ঋণ তারল্যসংকটকে তীব্র করে তুলেছে। এমন পরিস্থিতিতে সংকট সামাল দিতে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের কাছে ধারের জন্য ছুটছে। অন্তত ৪০টি ব্যাংক এভাবে ধার করে নগদ টাকার জন্য কলমানি থেকে ধার করে চলছে। টাকার সংকট কাটাতে উচ্চ সুদেও আমানত সংগ্রহ করছে অনেক ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বৃদ্ধিকে অন্যতম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) শুরু থেকেই সুদের হারে সর্বোচ্চ সীমা তুলে দিয়েছে, যার সরাসরি প্রভাব কলমানি মার্কেটেও পড়েছে। গতকাল কলমানিতে লেনদেনের হার ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। যদিও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কলমানির সুদের হার ছিল ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। সেই হিসাবে দুই বছরে কলমানির গড় সুদহার সাড়ে ৬ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়েছে। এভাবে চড়া সুদে ধার বিনিয়োগ ও উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যা কর্মসংস্থানের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে এমন ইঙ্গিত অর্থনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্টদের।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ব্যাংক খাতে টাকার বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। কয়েকটি ব্যাংকে তারল্যসংকট রয়েছে। এসব কারণে কলমানিতে ধার নিয়ে নগদ টাকার চাহিদা মেটাচ্ছে অধিকাংশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে সুদের হার খানিকটা বেশি হলেও সেদিকে গুরুত্ব কম বলা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গতকাল কলমানির (এভার নাইট) সুদ ছিল ৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে হার ছিল ৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ। তার আগের বছরে (২০২২) জানুয়ারিতে কলমানির গড় সুদের হার ছিল ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। তবে বিদায়ী বছরের শেষ কর্মদিবসে সুদের হার ছিল ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘অর্থ পাচার, ডলারের মূল্যবৃদ্ধিতে ব্যাংকে তারল্যসংকট দেখা দিয়েছে। তারল্যসংকটের মোকাবিলা করতে এক ব্যাংক অন্য ব্যাংক থেকে চড়া সুদে টাকা ধার নিচ্ছে। এটা ছাড়া কোনো উপায় নেই। সূত্র : আজকের পত্রিকা

হককথা/নাছরিন