ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৯১.৭৯ শতাংশ অর্জন এনবিআরের
- প্রকাশের সময় : ০৩:১৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪
- / ৩৮ বার পঠিত
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ৯১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। এর মধ্যে কাস্টমস থেকে এসেছে ৮৮.৯৬ শতাংশ, মূসক থেকে ৯৪.৪১ শতাংশ এবং আয়কর থেকে এসেছে ৯১.৩৫ শতাংশ।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের ওপর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এর মধ্যে কাস্টমস ১০ দশমিক ১৩ শতাংশ, মূসক ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ ও আয়কর ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের হার ছিল ৯০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে এ প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৯২ শতাংশ। ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার মাসিক সমন্বয় সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুমিন।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায় আমদানি শুল্ক থেকে ৪৩ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকার বিপরীতে ২২ হাজার ৮৯৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে। মূল্য সংযোজন কর (আমদানি পর্যায়ে) ৫২ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকার বিপরীতে ২৮ হাজার ৫৩২ কোটি ২৪ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক (আমদানি পর্যায়ে) ১৪ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকার বিপরীতে ৬ হাজার ৪৭৯ কোটি ২৭ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে। রফতানি শুল্ক ৬৪ কোটির বিপরীতে ২ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে।
আবগারী শুল্ক ৪ হাজার ৯৫৮ কোটি ৩২ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মোট ৩ হাজার ৫১০ কোটি ১ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে। মূল্য সংযোজন কর (স্থানীয় পর্যায়ে) ৫২ হাজার ৭২২ কোটি ২৪ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে। সম্পূরক শুল্ক (স্থানীয় পর্যায়ে) ৪১ হাজার ৬১ কোটি ৩ লাখ টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২০ হাজার ৫২২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে। টার্নওভার ট্যাক্স খাতে ৪৫ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে জানুয়ারিতে কোনো রাজস্ব আহরণ না থাকলেও তার আগ পর্যন্ত ৩৮ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে। অন্যান্য (স্থানীয় পর্যায়ে) খাতে লক্ষ্যমাত্রা না থাকলেও ৫৬৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে। আয়কর ১ লাখ ৪৫ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬১ হাজার ৮৪০ কোটি ২৩ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে। ভ্রমণ কর খাতে ১ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১ হাজার ২৩৪ কোটি ১২ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে।
মোট লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে শুধু জানুয়ারিতে ৩২ হাজার ৬৭৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আহরণ হয়েছে। আর জানুয়ারি পর্যন্ত মোট আহরণ হয়েছে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৩০৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা। জানুয়ারি পর্যন্ত প্রবৃদ্ধির হার আমদানি শুল্ক ১৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ, মূসক ১৬ দশমিক ৯০ শতাংশ ও আয়কর ৩০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে ফেব্রুয়ারির শুরুতে অনিষ্পন্ন মামলা ছিল ৪৬৫টি। ফেব্রুয়ারিতে নতুন আরো ৯১টি মামলা হয়। ওই মাসে ১৯২টি মামলা নিষ্পত্তি করা হয়। এর মধ্যে কাস্টমসের ১২৩টি ও ভ্যাটের ৬৯টি। অনিষ্পন্ন রয়েছে ৩৬৪টি। ফেব্রুয়ারির শুরুতে ট্যাক্সেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালে অনিষ্পন্ন মামলা ছিল ৮২৪টি। ফেব্রুয়ারিতে নতুন আরো ৫০৪টি মামলা হয়। ওই মাসে ৫১২টি নিষ্পত্তি করা হয়। অনিষ্পন্ন রয়েছে ৮১৬টি।
ট্যাক্সেস আপিলাত ট্রাইব্যুনালের নিষ্পত্তিকৃত মামলাগুলোর মধ্যে উভয় পক্ষের কী পরিমাণ মামলা উচ্চ আদালতে যায় তার প্রকৃত তথ্য ট্রাইব্যুনালে নেই। তবে বিক্ষুব্ধ পক্ষগুলো ট্রাইব্যুনালের আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যেতে আদেশের সার্টিফায়েড কপি সংগ্রহ করে। এক্ষেত্রে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক (২০২৩ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর) পর্যন্ত উভয় পক্ষ থেকে মোট ১৬২টি আদেশের কপি সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, প্রতি মাসে গড়ে ৫৪টি মামলা উচ্চ আদালতে যায়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও আওতাধীন অফিসগুলোর ৬৬ কর্মকর্তার ভ্রমণ বিলের আপত্তির মধ্যে দুজন কর্মকর্তার আপত্তি রাজস্ব অডিট অধিদপ্তর নিষ্পত্তি করেছে। বাকি ৬৪ জন কর্মকর্তার ভ্রমণ বিলে প্রদত্ত অডিট আপত্তি আলাদাভাবে গুরুত্ব দিয়ে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। সূত্র : বণিকবার্তা।