নিউইয়র্ক: বাংলাদেশের ৪৫তম স্বাধীনতা দিবস ২৬ মার্চ’২০১৬। দেশের ন্যায় প্রবাসেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় দিবসটি পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘের বাংলাদেশ মিশন, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচী গ্রহণ করে। সময় আর বাস্তবতার কারণে অনেক অনুষ্ঠানের খবর কভার করা সম্ভব না হলেও গুরুত্বপূর্ণ একাধিক অনুষ্ঠান কভার করার সুযোগ হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে গিয়ে একথা বলতে দ্বিধা নেই বা প্রশ্ন নেই প্রবাসীদের দেশপ্রেম নিয়ে। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে, কোন কোন অনুষ্ঠান আয়োজনে নেতৃবৃন্দের লোকদেখানো আর প্রচার-প্রপাকান্ডই চোখে পড়েছে। যা অত্যন্ত দু:খজনক। ব্যক্তিগতভাবে আমি মর্মাহত। এক অনুষ্ঠানে গিয়ে দেখা গেলো লাল-সবুজে কাজ করা রং বে রং-এর শাড়ী পড়ে একদল তরুণী-মহিলা অনুষ্ঠানের গুরুত্বের চেয়ে নিজেদের ‘সেলফী’ তোলায় ব্যস্ত, বিব্রত আয়োজকদের কেউ কেউ। আরেক অনুষ্ঠানে দেখা গেলো স্বাধীনতা দিবসের দু’এক লাইন আলোচনা করেই শেষ হলো স্বাধীনতা দিবসের ‘আলোচনা’। এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠানের আয়োজকরা কতটুকু বিব্রত হলেন জানিনা, কিন্তু আমি শুধু বিব্রতই নই, লজ্জাবোধ করেছি। সেই সাথে নিজের বিবেকবোধ থেকে আয়োজকদের বলেছি, আপনাদের সময় না থাকলে আলোচনা করা দরকার নেই, এভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রয়োজনীয়তা বা গুরুত্ব নেই। বিষয়টি আগামী দিনের জন্য মাথায় রাখবেন। ভবিষ্যতে আমার কথা কতটুকু গুরুত্ব পাবে জানি না, তবে লাখো ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত শোক এখন শক্তিতে পরিণত হয়ে উৎসবে পরিণত হয়েছে। শোক-আর উৎসবের আমেজে আমরা যেনো জাতীয় দিবসগুলোর (শহীদ দিবস তথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, মহান স্বাধীনতা দিবস, মহান বিজয় দিবস প্রভৃতি) গুরুত্ব-মর্যাদা ভুলে না যাই। ২৭ মার্চ’২০১৬ (সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা)